শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোয় বিক্ষোভ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
কলকাতা শহরের রাস্তায় ট্রাম চালানোর বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের অনাগ্রহের কথা প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে তার সমালোচনা শুরু হয়েছে। কলকাতার রাস্তায় ট্রামকে আগের মহিমায় ফিরিয়ে আনার দাবি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে একটি নাগরিক সংগঠন। ওই মামলা চলাকালীন সম্প্রতি ট্রাম চালানোর বিষয়ে সরকারের অনিচ্ছার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মন্ত্রীর এই মন্তব্যে সরকারের মনোভাব প্রকাশ্যে আসতেই ট্রামপ্রেমী সংগঠন ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন এ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়।
ওই মামলাতেই সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভা একাধিক রুটে ট্রাম চালানোর বিষয়ে তাদের অনিচ্ছার কথা জানিয়েছে। সরকারের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে ট্রামপ্রেমী সংগঠন ছাড়াও একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ‘ট্রাম বাঁচাও মঞ্চ’ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছে। ওই মঞ্চের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েকশো মানুষ সেখানে জড়ো হন।
মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী দিনে শহরের অন্যান্য একাধিক ডিপোর সামনে বিক্ষোভ এবং আগামী ৫ অক্টোবর মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ট্রামপ্রেমী সংগঠন এ নিয়ে আজ, শুক্রবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছে। আজ ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সমাজমাধ্যমেও সরকারের অবস্থান সমালোচিত হচ্ছে। এ দিন ট্রামপ্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে দেবাশিস ভট্টাচার্য এবং মহাদেব শী পরিবেশবান্ধব, দূষণহীন গণপরিবহণ হিসাবে ট্রামের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। ওই সমাবেশে এ দিন নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ, পরিবেশবান্ধব ট্রাম বাঁচাও কমিটি ছাড়াও একাধিক সংগঠন শামিল হয়।