—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় অস্বাভাবিক মৃত্যু। পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হল যুবকের। তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে মৃতের পরিবারের তরফে এখনও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
মানিকতলা থানা এলাকার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা অনিল রাজ়াক (৪৭)। স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারাজে মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন তিনি। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ খবর পেয়ে অনিলের বাড়িতে যায় মানিকতলা থানার পুলিশ। তাঁকে আরজি কর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, গত রাতে পেটের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন অনিল। তাঁকে রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পথেই যুবকের মৃত্যু হয়। আবার দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন পরিবারের সদস্যেরা। সকালে খবর পায় পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মঙ্গলবার অনিলের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন গ্যারাজের মালিক এবং সহকর্মীরা। তাঁরাই জানান, সকালে দু’জন অনিলকে মারধর করেছিলেন। তাঁদের নাম শিবকুমার এবং শিবা। তখনই অনিলের চোট লেগে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মারধরের বিষয়টি নিয়ে মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। পুলিশ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। কী ভাবে যুবকের মৃত্যু হল, তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছিল কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।