ভবিষ্যতের অনেক শপথই টাউন হলে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

আগে যা হয়নি, এ বার হল। ১) প্রথম বার টাউন হলে শপথ নিলেন কলকাতার মেয়র। ২) মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী। ৩) সেখানে বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, যে কোনও অপরিকল্পিত শহরের তুলনায় গত পাঁচ বছরে কলকাতার উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৫ ০১:৪৩
Share:

পাদস্পর্শ। শপথের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার, টাউন হলে। — নিজস্ব চিত্র।

আগে যা হয়নি, এ বার হল।

Advertisement

১) প্রথম বার টাউন হলে শপথ নিলেন কলকাতার মেয়র।

২) মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

৩) সেখানে বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, যে কোনও অপরিকল্পিত শহরের তুলনায় গত পাঁচ বছরে কলকাতার উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি।

শুক্রবার দুপুর সওয়া একটা নাগাদ টাউন হলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নেওয়ার জন্য তার আগেই হাজির হয়েছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, চেয়ারপার্সন মালা রায়।

দর্শকাসনে ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েক জন মন্ত্রী, আমলা, তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক এবং বিশিষ্টজনেরা। বাম কাউন্সিলরেরা অবশ্য এই অনুষ্ঠান বয়কট করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ জানায় কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠীও। তবে বিজেপি ও কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা ছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শোভন জিজ্ঞাসা করেছিল কোথায় অনুষ্ঠান হবে। আমিই টাউন হলে করতে বলি। কত ভাল জায়গা! ভবিষ্যতেও অনেক শপথের অনুষ্ঠান এখানে করব। খোলা জায়গা, একটু ধুলো আছে। তবে আমি মনে করি, রাস্তার ধুলো মাখলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়।’’

টাউন হলের প্রবেশপথে বড় সিঁড়ির উপরে তৈরি হয়েছিল শপথের মঞ্চ। আশপাশে বসানো হয় অতিথিদের। দুপুর দেড়টায় পুরসভার সচিব হরিহরপ্রসাদ মণ্ডলের ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় শপথের পর্ব। প্রথমে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করান চেয়ারম্যান প্রোটেম মানিক চট্টোপাধ্যায়। পরে শপথ নেন চেয়ারপার্সন মালা রায়।

বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে কলকাতার অনেক উন্নতি হয়েছে। এই শহরকে দেখে অনেকেই প্রশংসা করেন। যাঁরা তিন-চার বছর পরে কলকাতাকে দেখছেন তাঁরাও পরিবর্তনটা বুঝছেন।’’ উন্নয়নের সেই ধারাকে ধরে রাখতে কলকাতার পুরবোর্ডকে তৎপর থাকার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই অনুষ্ঠানের পরেই পুরভবনে মেয়র পারিষদদের শপথ পর্ব শুরু হয়। চেয়ারপার্সন পুরসভার অধিবেশন কক্ষে প্রথম সভা শুরু করেন। মেয়র শপথবাক্য পাঠ করান ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে। পরে একে একে শপথ নেন মেয়র পারিষদেরা। মেয়র জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে পারিষদদের দফতর বণ্টন হয়ে যাবে।

এ দিকে টাউন হলে যখন মেয়রের শপথ অনুষ্ঠান চলছিল, তখন কলকাতা পুরসভার গত তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং এই নির্বাচনে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে পুরভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম কাউন্সিলরেরা। প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন তাঁরা টাউন হলের শপথ অনুষ্ঠানও বয়কট করেন। সন্ত্রাস ও ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের একাংশও টাউন হলের প্রবেশদ্বারের কাছে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও টাউন হলের অনুষ্ঠানে ছিলেন কংগ্রেসেরই দুই কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় ও সন্তোষ পাঠক। ফের মেয়ররে দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁরা রীতি মেনে শোভনবাবুকে অভিনন্দনও জানান। কংগ্রেসের অন্দরের সমীকরণে, এই দুই কাউন্সিলর প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর কাছের লোক বলে পরিচিত। আর বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান খালেক এবাদুল্লা ও দলের মানবধিকার কমিটির নেত্রী রাসু দত্ত। কংগ্রেসের অন্দরে এবাদুল্লার পরিচিতি প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি মানস ভুঁইয়ার অনুগামী হিসেবে। শপথে ছিলেন বিজেপি-র কাউন্সিলরেরাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement