ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক হবে। পূর্ত দফতর, কেএমডিএ এবং পুলিশের আধিকারিকেরা হাজির থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এটা খুব বড় ঘটনা হতে পারত। হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত। কিন্তু ঈশ্বরের অসীম কৃপায় তা হয়নি। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কাল (মঙ্গলবার) এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিন আরও এক জনের দেহ মিলেছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ, গুরুতর আহতদের এক লক্ষ এবং অল্প আহতদের ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘টাকা বা চাকরি কখনও মৃত্যুর বিকল্প হতে পারে না। তবু মৃতের পরিবারকে তো ভবিষ্যতের জন্য বেঁচে থাকতে হয়।’’ পরে সিএমআরআই হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি।
আরও খবর: হাঁটতে গিয়েও গর্তে পড়তে পারি, মন্ত্রী বিঁধলেন বিরোধীদের
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে প়ড়ার কারণ কী? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখনই কোনও নির্দিষ্ট কারণ বলব না। আবার কোনও কারণকে ছোট করেও দেখতে চাই না।’’ এ কথা বলেও মেট্রোর নির্মাণে মাটি কাঁপার কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মানুষের গন্ধ খুঁজছে স্নিফার ডগ
এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধেও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন সেতুতে ছ’মাস অন্তর নজরদারি করি। তবে অনেক সেতুই আগে তৈরি হয়েছে। তার কাগজপত্র আমরা খুঁজে পাই না। পোস্তার উড়ালপুলের (ভেঙে পড়ার) সময় অনেক কষ্ট করে কাগজপত্র জোগাড় করতে হয়েছিল। এই সেতুটির বয়স ৫৪ বছর বলে ইঞ্জিনিয়ারেরা আমায় জানিয়েছেন।’’