মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পোস্তার গঙ্গাপাড়ের জমি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের আইনি লড়াই চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। ওই এলাকা থেকে ‘জবরদখলকারী’ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার জন্য ইতিমধ্যেই বন্দর নোটিস দিয়েছে। মঙ্গলবার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে পোস্তায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ব্যবসায়ীদের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন। তাঁর সাফ কথা, ‘‘ওই জমি রাজ্য সরকারের। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন।’’
মমতা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিয়ে বলেন, ‘‘পোর্ট ট্রাস্ট উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে তো কী হয়েছে! জমিটা আইন দফতরের। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কাগজপত্র রয়েছে। মলয় বিষয়টি দেখবে। আপনাদের চিন্তার কিছু নেই।’’ কিন্তু গঙ্গার পাড় সংলগ্ন স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোডের দু’পাশে দীর্ঘদিন ধরেই পোস্তার ব্যবসায়ীরা জবরদখল করে রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। জবরদখলকারীদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বন্দরের। বন্দরের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘কলকাতা পুরসভার মেয়রের অনুরোধেই এই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা হবে।’’
এমনকী, ইতিমধ্যেই ব্র্যাবোর্ণ রোড সংলগ্ন পোর্ট ট্রাস্টের টোল অফিসের কাছেও একটি জমি থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদও করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই উচ্ছেদে কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার সাহায্যেই হয়েছিল বলে পোর্ট
ট্রাস্টের বক্তব্য।
এখন তিন কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোডের ধারে ওই রাস্তা তৈরি করার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সুরেই পরে আইনমন্ত্রীও বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পোর্ট ট্রাস্ট ভাড়া নিচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেনেছি, জমিটা আইন দফতরের। বন্দর ভাড়া নিচ্ছে বলে নিজেদের ওই জমির মালিক ভেবে নিয়েছে মনে হচ্ছে।’’ কিন্তু জমিটা পোর্ট ট্রাস্টেরই বলে পাল্টা দাবি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘‘ওই এলাকা থেকে যে সম্পত্তি কর আদায় হয় তা কলকাতা পুরসভা বন্দরের থেকে আদায় করে। ফলে এতেই প্রমাণ হয় জমির মালিকানা কাদের হাতে।’’