মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যু জামাল হানিফের।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ঠিক এক মাসের মাথায় মৃত্যু হল আরও একজনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার।
বৃহস্পতিবার রাতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাসিন্দা জামাল হানিফের (৫৬) মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর কোমরে গুরুতর চোট পেয়ে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিছু দিন আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন।
পরিবার সূত্র খবর, মেডিক্যাল সরঞ্জাম এবং ওষুধের কারবার করতেন হানিফ। দুর্ঘটনার দিন কোমরে গুরুতর চোট পান তিনি। ঘটনার আতঙ্কে মানসিকভাবেও প্রবল ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।বৃহস্পতিবার আচমকা শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মেডিক্যালে অগ্নিকাণ্ড: পোড়া ফার্মেসিতে মিলল মোবাইল, থালা-বাটিও
আরও পড়ুন: ছেলে তো অন্য ঘরে, সীতাকে স্তোক স্বামীর
গত ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌমেন বাগ নামে এক যুবকের। পরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। ওই দু’জনেই মেট্রো রেলের ঠিকাশ্রমিক ছিলেন। ব্রিজ বিপর্যয়ের পর গুরুতর আহত জামাল হানিফকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হানিফের কোমরের নীচের অংশে ভেঙে যায়। বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচারের পরেও তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। মৃতের ভাই সাকিল হানিফ বলেন, “ঠিক করে রাতে ঘুমতেও পারছিল না দাদা। ওই ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।” তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর সরকারের তরফে সব রকম সাহায্য মিলেছে। হানিফের স্ত্রী এবং এক মেয়ে রয়েছেন। সাকিলের দাবি, হানিফেরমেডিক্যাল ব্যবসা বন্ধ। তাঁর পরিবারের কারও একজনের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা হলে ভাল হয় বলে মনে করেন সাকিল।