লেভেল ক্রসিং নির্মাণের প্রস্তুতি। মাঝেরহাটে, শনিবার। —নিজস্ব চিত্র
নিউ আলিপুর এবং আলিপুর অ্যাভিনিউয়ের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে লেভেল ক্রসিং তৈরির কাজ শুরু করল রেল। শনিবার মাঝেরহাট এবং নিউ আলিপুর স্টেশনের মধ্যে ওই লেভেল ক্রসিং তৈরির জন্য সকাল থেকেই রেলের কর্মীরা ওভারহে়ড তারের সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করেন। ‘ইনস্পেকশন কার’-এর ছাদে চেপে ওই কাজ করতে দেখা যায় তাঁদের।
রেল সূত্রের খবর, মূল কাজ শুরু হয়েছে রাত থেকে। যার জন্য শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ১৮ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকছে। ব্যাহত হবে চক্ররেল পরিষেবাও। বিদ্যুতের খুঁটির স্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি ট্রেনের লাইন পরিবর্তনের ক্রসিং পয়েন্টও বদলানো হবে।
লেভেল ক্রসিং তৈরির পাশাপাশি আলিপুর অ্যাভিনিউ ও নিউ আলিপুর জে ব্লকের দিকের রাস্তার কাজও চলছে। আলিপুর অ্যাভিনিউয়ের দিকে রাস্তা আট মিটার চওড়া করা হচ্ছে। নিউ আলিপুরের দিকে চওড়া করা হচ্ছে সাত মিটার। ওই দুই রাস্তার সংযোগের জন্য চেতলা খালের উপরে তৈরি হচ্ছে বেইলি ব্রিজ। ওই ব্রিজ তৈরির জন্য খালের উপরে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পাইলিং হয়ে যাওয়ার পরে আগামী সপ্তাহ থেকে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ওই ব্রিজ বসানোর কাজ শুরু করবে।
শনিবার ওই রাস্তা এবং লেভেল ক্রসিংয়ের কাজ পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার বিনীত গোয়েল ও জাভেদ শামিম। তাঁরা আলিপুর অ্যাভিনিউ দিয়ে সেখানে পৌঁছন। পরে রেললাইন টপকে নিউ আলিপুরের দিকের কাজও দেখেন। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, পুজোর আগেই রাস্তা তৈরি করে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে পূর্ত দফতরের তরফে। প্রথমে একমুখী গাড়ি চলাচল করবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, সকালে ওই রাস্তা দিয়ে বেহালা-নিউ আলিপুরের দিক থেকে গাড়ি যাবে আলিপুর অ্যাভিনিউয়ের দিকে। আবার বিকেলে গাড়ি যাবে নিউ আলিপুরের দিকে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, নতুন রাস্তায় যান চলাচল মসৃণ রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাস্তা সম্প্রসারণ, খালের উপরে সেতু বা লেভেল ক্রসিং তৈরির পাশাপাশি আলিপুর পার্ক রোডের উপরে একটি ‘আইল্যান্ড’ ভাঙতে হবে যান চলাচল ঠিক রাখতে। সে জন্য পুলিশের তরফে পূর্ত দফতর এবং কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই লেভেল ক্রসিংয়ে রেল পুলিশের আউটপোস্ট তৈরি করা হচ্ছে। বালিগঞ্জ জিআরপি-র অধীনে ওই আউটপোস্ট কাজ করবে। চার জন রেল পুলিশকর্মী সব সময়ে সেখানে দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়াও নতুন রাস্তায় চারটি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।