বিদ্যাসাগর সেতু থেকে সরাতে হবে ফুলের টব

প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পিছনে অতিরিক্ত ওজন চাপানোর কথা উঠছে। তার পরেই বিদ্যাসাগর সেতুর টব সরানোর সিদ্ধান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:০৯
Share:

মাঝেরহাট সেতুর জোর বা়ড়াতে তিন কোটি টাকা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু তাদের নির্দেশেই গত বছর ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ফুলের টব বসানো হয়েছিল বিদ্যাসাগর সেতুতে! প্রশাসনের কর্তারাই বলছেন, সেই ফুলে সৌন্দর্য বে়ড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে সেতুর উপরকার ওজনও। মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পরে সেই টব ত়়ড়িঘ়ড়ি সরাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পিছনে অতিরিক্ত ওজন চাপানোর কথা উঠছে। তার পরেই বিদ্যাসাগর সেতুর টব সরানোর সিদ্ধান্ত।

Advertisement

বিদ্যাসাগর সেতু মুখ্যমন্ত্রীরও নিত্যদিনের যাতায়াতের পথ। প্রশ্ন উঠেছে, এখন যে-সব ইঞ্জিনিয়ার ও আমলা সেতুর উপরে অতিরিক্ত ওজন চেপেছে বলে জানাচ্ছেন, টব বসানোর আগে তাঁরা আপত্তি করেননি কেন? সদুত্তর মেলেনি। প্রশাসনিক সূত্র বলছে, সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা এবং খরচ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)-এর। কাজটা করেছিল বন দফতর। এইচআরবিসি-র এক কর্তা বলেন, ‘‘উপর মহলের নির্দেশেই ওই সৌন্দর্যায়ন হয়েছিল।’’ বন দফতরের একটি সূত্র বলছে, গাছের টব বসালে তার ওজন সেতুতে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটা ইঞ্জিনিয়ারদের বিচার্য। তাঁরা যে-ভাবে বলেছিলেন, সেই ভাবেই গাছ বসানো হয়েছে।

অনেকেই বলছেন, টব সরাতেও তো টাকা লাগবে। এত দামি গাছের কী হবে? এইচআরবিসি-র এক কর্তা জানান, ওই টব সেতুর নীচে ফাঁকা জমিতে রাখতে বলা হয়েছে। বন দফতর সূত্রের খবর, পরে ওই গাছ বিভিন্ন রাস্তার ডিভাই়ডারে এবং পাশে বসিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement