অভিযুক্ত অভিষেককুমার পাণ্ডে।
আনন্দপুর-কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত অভিষেককুমার পাণ্ডে। মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের কাছ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আনন্দপুরে চলন্ত গাড়িতে এক তরুণীকে যৌন হেনস্থা ও উদ্ধারকারীকে গাড়ির চাকায় পিষে ফেলায় অভিযুক্ত অভিষেক। গত শনিবার রাতে ঘটনার পর থেকেই পুলিশের কাছে অধরা ছিলেন তিনি। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলেও ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশি গাফিলতিরও অভিযোগ উঠেছিল।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, দমদমের একটি গেস্ট হাউসে লুকিয়ে ছিলেন অভিষেক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই গেস্ট হাউসে হানা দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময়ই ওই গেস্ট হাউস থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। এ দিন রাতে বাইপাসের অদূরে একটি গাড়ি থেকে অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের গাড়িতে রক্তের দাগ, আনন্দপুর-কাণ্ডে প্রশ্ন তদন্তের গতি নিয়েও
গত শনিবার রাতে আনন্দপুরের একটি আবাসনের কাছে অভিযুক্তের গাড়ি থেকে ওই তরুণীকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন দীপ শতপথী ও তাঁর স্ত্রী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁরা জানিয়েছিলেন, একটি গাড়ি থেকে ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার শুনে তাঁরা নিজেদের গাড়ি থামান। তাঁদের পিছনের একটি গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে এক তরুণীকে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল। নীলাঞ্জনা ওই তরুণীকে বাঁচাতে গেলে গাড়িটি তাঁর পা পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর পর দীপ ১০০ নম্বর করলে তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় নীলাঞ্জনাকে বাইপাসের একটি হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ।