তানপুরা হাতে মিউজিক ভিডিয়োর একটি দৃশ্যে মদন মিত্র। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
মদন মিত্র গান গাইতে ভালবাসেন। সুযোগ পেলেই গুনগুনিয়ে ওঠেন। কখনও নিজের ফেসবুক লাইভে। কখনও রাজনৈতিক বিষয়ে বক্তৃতা করতে গিয়ে এর আগে বহুবার গান গাইতে দেখা গিয়েছে মদনকে। এমনকি, গত শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভেও পর পর গান শুনিয়েছেন কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক। তবে এবার তিনি ‘পুজোর গান’ নিয়ে এসেছেন। শুধু গান নয়, পুরোদস্তুর মিউজিক ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে হলুদ পাঞ্জাবি আর মেরুন ধুতি পরে হাতে তানপুরা নিয়ে গান গাইছেন মদন।
ভোটের আগে মদন কুমড়ো হাতে নিয়ে ‘ওহ লাভলি!’ গেয়ে সাড়া ফেলেছিলেন। এবার অবশ্য তাঁর গানের বিষয় ‘ইন্ডিয়া ওয়ানা হ্যাভ হার বেটিয়া’। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’-এর বৃহত্তর প্রতিরূপ।
বাংলার রাজনীতির অন্যতম রঙিন চরিত্র মদন। কখনও নায়িকাদের সঙ্গে সেল্ফিতে, কখনও ফেসবুক লাইভে গান গেয়ে আসর জমিয়ে দেন তিনি। আবার কখনও তাঁর মন্তব্যে হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন তাঁর প্রতি কটাক্ষকারীরাও। এমন রংদার চরিত্রের গানের ভিডিয়োও যে ততোধিক রঙিন হবে তা সহজেই অনুমেয়। দেখা গেল, পুজোর গানের ভিডিয়োয় মদন তাঁর দর্শকদের নিরাশ করেননি। গানের কথাতেই নিজেকে ‘কালারফুল বয়’ বলে অভিহিত করেছেন। হলুদ-মেরুন ধুতি-পাঞ্জাবিতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। আবার কোনও দৃশ্যে ঝলমলে এলইডি-র আলো মালার মতো ঝুলিয়ে নিয়েছেন গলায়।
মদনের গান শুরু হয়েছে আগমনীর আমেজ নিয়েই। তবে ‘জাগো মা’ বলে গান শুরু করলেও গানের মাঝামাঝি ‘মা’ হয়ে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মদন গেয়েছেন, ‘বাংলা হবে এবার দিল্লির ঘাঁটি, মমতার হাত ধরে সামনে হাঁটি।’ এর পরেই গানের ‘পাঞ্চলাইন’। ‘ইন্ডিয়া ওয়ানা হ্যাভ হার বেটিয়া’ অর্থাৎ ভারত নিজের মেয়েদের চায়। মিউজিক ভিডিয়োয় মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন মদন স্বয়ং। তবে তাঁর সঙ্গে নাচে সঙ্গত করেছেন একঝাঁক তরুণী। গানটির কথা, সুর এবং ভিডিয়োগ্রাফি করেছেন প্রীতম ডি।