নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
স্বাস্থ্যভবনে আন্দোলনস্থল থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুললেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানালেন, আরও ৩৩ দিন এই রাজপথে বসে থাকতে পারেন।
চিকিৎসকদের দাবি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশাই প্রকাশ্যে এসেছে।
স্বাস্থ্য ভবনে নেমে আন্দোলনকারীরা বললেন, ‘‘সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে কিসের ভয়? আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। চারা বিতরণেরও সরাসরি সম্প্রচার হয়। তা হলে ভয়টা কিসের? আমরা ভেবেছিলাম মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে সদর্থকর বার্তা পাব। উনি বললেন তিন দিন অপেক্ষা করছেন। সঠিক নয়। আমরা ৩৬ দিন অপেক্ষা করছি। এর আগে মেলে বলা হয়নি তিনি বৈঠকে থাকবেন।’’
ফিরবেন স্বাস্থ্য ভবনে। বাসে উঠছেন আন্দোলনকারীরা।
বাসে উঠছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছবি: সারমিন বেগম।
নবান্ন থেকে স্বাস্থ্য ভবনে ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকেরা বললেন, ‘‘আমরা চেয়ারে ভরসা রেখেই এসেছিলাম। চেয়ার নিয়ে মন্তব্যে আমরা হতাশ। চেয়ারের প্রতি ভরসা রয়েছে বলে অপেক্ষা করছি। অপেক্ষা করব।’’
সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
সাংবাদিক বৈঠক শুরু করলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বললেন, ‘‘বিচারের দাবিতে এসেছি। আমাদের সদিচ্ছা রয়েছে। আমরা এখানে জনাতে পারলাম, মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছেন যে, তিনি খোলা মনে আলোচনার জন্য বসে ছিলেন। দরকারে চেয়ার ছেড়ে দেব। আমরা চেয়ারের জন্য আসিনি।’’
নবান্ন সভাঘরের দরজা বন্ধ করা দেওয়া হল।
নবান্ন থেকে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘‘আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে পারি।’’
মমতা বলেন, ‘‘আমি ইমার্জেন্সির সমর্থক নেই। আন্দোলনেই আমার জন্ম।’’
মমতা হাতজোড় করে বলেন, ‘‘আমি তিন দিন ধরে বসে রয়েছি। যাঁদের বিরুদ্ধে ওঁদের এত অভিযোগ, তাঁদের আসতে বারণ করেছি। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি, তিন দিনেও সমস্যার সমাধান করতে পারলাম না। ক্ষমা করলাম ডাক্তারদের। আপনারা কাজে যোগ দিন। এটুকুই আবেদন আমার।’’
মমতা জানালেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে এখন পর্যন্ত ২৭ জন মারা গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের প্রাণ চলে যেতে পারে। ’’
মমতা বলেন, ‘‘আমরা সকলকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলাম। কেন তাঁরা আসেননি, সেটা সংবাদমাধ্যমকে বলতে পারতেন। আমি নিজেও ফোন আনিনি। ওঁদেরও বারণ করা হয়। আমি এবং চন্দ্রিমা ছাড়া কাউকে ডাকিনি, যাতে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।’’
মমতা জানালেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই কিছু বিষয় মানতে হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এমন কিছু করতে চাইনি, যাতে অচলাবস্থা দূর না হয়। চিঠিতেও লিখএ দিয়েছিলাম। খোলা মন নিয়ে ালোচনার কথা বলেছিলাম। যে কোনও বিষয় তুলতে পারতেন। তার পর সংবাদমাধ্যমকে জানাতেন। বৈঠক ইতিবাচক হলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করতাম।’’
মমতা বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছিলাম, নির্যাতিতার বিষয়ে শোকপ্রস্তাব নিতাম বৈঠকে। আমি পরিবারের সঙ্গে একমত। আমি নিজেও বিচার চেয়ে মিছিল করেছি। সিবিআই তাড়াতাড়ি তদন্ত করুক।’’
মমতা বলেন, ‘‘ভিডিয়ো রেকর্ড করা হবে, জানানো হয়েছিল। তিনটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। চাইলে ভিডিয়োর রেকর্ড তাঁদের হাতে তুলে দিতাম। সুপ্রিম কোর্ট যে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারে, আমরা পারি না। মামলা বিচারাধীন। সিবিআই দেখছে। চাইলে আমরা তাদের ভিডিয়ো রেকর্ড দিতাম। কোর্টকেও দিতে পারতাম।’’
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করছেন মমতা। তিনি জানালেন, বিকেল প্রায় ৫টা থেকে অপেক্ষা করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে ভেবেছিলাম।’’
তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে জানানো হল, ‘‘আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। আলোচনার জন্য সরকার সব রকম পদক্ষেপ করেছে। ’’ পোস্টে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে হচ্ছএ জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় কোনও আগ্রহ নেই।