যাদবপুরের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। —ফাইল চিত্র।
১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর রাত প্রায় সওয়া ২টো নাগাদ বৈঠক ছেড়ে বেরোলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বাইরে বেরিয়ে তিনি বলেন, “এখন অসুস্থ বোধ করছি। বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলি নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি। বৈঠক অসম্পূর্ণ।” পরবর্তী ইসি-র বৈঠক কবে ডাকা হবে সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি উপাচার্য।
দুপুর ২টো থেকে শুরু হয়েছে কর্মসমিতির বৈঠক। তার পর থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে রাত ২টো বেজে যাওয়ার পরও চলছে বৈঠক। সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে উপাচার্য বলেছিলেন, “যে সব বিষয়ে আলোচনা করার আছে তাতে ৮-১০ ঘণ্টার মিটিংয়েও শেষ হবে না। কিন্তু ২-৩ ঘণ্টার পরেই সদস্যরা বিরক্ত হয়ে যান। ধৈর্য রাখতে পারেন না।”
অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ৩৫ জন ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাঁরা যত ক্ষণ ক্লিনচিট পাচ্ছেন না, তত ক্ষণ হস্টেলে থাকতে পারবেন না। কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই সুপারিশ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই সুপারিশের বিরোধিতা করেন বৈঠকে উপস্থিত ছাত্ররা। যদিও কমিটির এই রিপোর্ট পাঠানো হবে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি এবং অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের কাছে। তার পরেই সুপারিশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে গত অগস্ট মাসে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। ওই ঘটনায় র্যাগিং এবং খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। পুলিশ এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার তদন্তে অভ্যন্তরীণ কমিটি গড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটির রিপোর্টেই র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েক জন ছাত্রের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের দাবি। ৩৫ জন সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ওই ৩৫ জনের হস্টেলে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে কর্মসমিতির বৈঠকে।
ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে অনলাইনে ক্লাসের ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। যদিও এই অনলাইন ক্লাসের যৌক্তিকতা নিয়ে কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ডেঙ্গি পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দুর্গাপুজো পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলতে পারে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার পরে।