—প্রতীকী ছবি।
শীত এখনও রয়েছে। এখনই শুরু হয়ে গিয়েছে মশার প্রকোপ। সময়ে পদক্ষেপ না করলে গত বছরের মতো এ বারও বছরভর মশাবাহিত রোগের প্রকোপ ঠেকানো মুশকিল হবে বলেই মনে করছেন দমদমের তিন পুর এলাকার বাসিন্দারা। পুরসভাগুলির দাবি, মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এখন তেমন ভাবে শোনা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা এই বছরের গোড়া থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করার দাবি করেছে। একই ভাবে দমদম ও উত্তর দমদমেও এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই পুরসভা। তবে নিচু জলা এলাকা, জলাশয়, পরিত্যক্ত গুদাম, বাড়ি, কারখানা থেকে শুরু করে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় মশার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, ব্যক্তি মালিকানাধীন ফাঁকা জমি থেকে জলা এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। উপরন্তু সেখানে আবর্জনা ফেলার প্রবণতা রয়েছে বহু বাসিন্দার। প্রতি বছরই মশাবাহিত রোগে একাধিক মৃত্যু হলেও সুরাহা মিলছে না। পুরসভা অবশ্য দাবি করেছে, এমন সব ফাঁকা, অব্যবহৃত জমির মালিকদের নোটিস পাঠানো হয়। যদিও তেমন সাড়া মেলে না তাঁদের থেকে। পুরসভাকেই পদক্ষেপ করতে হয়। চলতি বছরে শুরু থেকেই সেই সব জমি মালিকদের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাড়া না মিললে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
দমদমের তিন পুরসভা মিলিয়ে গত বছরে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বাসিন্দা মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, অব্যবহৃত এই ধরনের জমি-জলাশয়ের মালিকদের নোটিস পাঠানো হলেও পর্যাপ্ত সাড়া মেলে না। পুরসভাই পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে ইতিমধ্যেই মশার ওষুধ ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। একই সুরে উত্তর দমদম পুরসভার এক পুরকর্তা জানান, অব্যবহৃত জমি, জলাশয়ের মালিকদের একাংশের হুঁশ ফিরছে না। তবে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা চলছে।
তবে শুধু নিচু জলাজমি কিংবা ফাঁকা প্লট নয়, পরিত্যক্ত গুদাম ও কারখানা এলাকাগুলির দিকেও নজর দেওয়া দরকার বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, ওই সব জমি মালিকদের সাড়া প্রায় মেলে না বললেই চলে। পুরসভাই পরিষ্কারের ব্যবস্থা করবে। তবে নোটিস পাঠানোর পরে সাড়া না মিললে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।