চার মাস আগে বিবেকানন্দ পার্কে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল এক তরুণ ক্রিকেটারের। তার পরেই কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের সব পার্কে বজ্রনিরোধক যন্ত্র (লাইটনিং অ্যারেস্টার) বসানো হবে। দু’টি পার্কে ইতিমধ্যেই তা বসেছে। চলতি মাসে ম্যাডক্স স্কোয়ারে বজ্রনিরোধক যন্ত্র বসাতে উদ্যোগী হল পুর প্রশাসন।
পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ম্যাডক্স স্কোয়ারে বজ্রনিরোধক যন্ত্র বসানোর জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। আগে যতীন দাস পার্ক এবং পাটুলির একটি পার্কেও এই যন্ত্র বসানো হয়েছে। এক কর্তার কথায়, ‘‘অন্য পার্কগুলিতেও এই যন্ত্র বসবে।’’
বিবেকানন্দ পার্কের ওই ঘটনার পরে চারদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কারণ, সম্প্রতি শহরে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তার পরেই ময়দানে বজ্রপাতে মারা যান এক যুবক। ঘনঘন বজ্রপাতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, কেন প্রশাসনের তরফে কিছু করা হচ্ছে না।
তখনই পুরসভায় এক বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, শুধু পার্কই নয়, পুরসভার সব অফিসেও ওই যন্ত্র বসানো হবে। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘পুরসভার অনেক অফিসেই ওই যন্ত্র বসেছে। তবে লাইটনিং অ্যারেস্টার বসাতে গেলেও তো বড় খরচ আছে। তাই একসঙ্গে সর্বত্র সেটা বসানো সম্ভব হচ্ছে না।’’
আবহাওয়া গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সারা বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এত দিন জেলায় হলেও এ বার খাস কলকাতায় পরপর দু’টি এমন ঘটনায় প্রশাসনের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এক গবেষকের কথায়, ‘‘নির্দিষ্ট দূরত্বে লাইটনিং অ্যারেস্টার বসাতেই হবে। না হলে যে ভাবে বজ্রপাত বাড়ছে, তাতে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’’