শিয়ালদহ থেকে হাওড়া স্টেশনের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে ওইটুকু যেতেই পেরোতে হল কয়েক গুণ বেশি পথ। হাওড়া ব্রিজের বদলে হুগলি সেতু দিয়ে পৌঁছতে হল হাওড়া স্টেশনে। সৌজন্যে, হাওড়ার বামপন্থী সরকারি কর্মী সংগঠনের নবান্ন-অভিযান।
পুলিশ জানায়, হাওড়া ব্রিজে গাড়ি বন্ধ থাকে ঘণ্টাখানেক। মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতা থেকে হাওড়াগামী অধিকাংশ গাড়িকে হুগলি সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। নাস্তানাবুদ হন মানুষ। এ দিন দেড়টা নাগাদ বামকর্মীরা হাওড়া স্টেশন চত্বরে জড়ো হন। দলে দলে ভাগ হয়ে শুরু হয় নবান্ন-অভিযান। ক্রমশ ভিড় বাড়তে থাকায় স্তব্ধ হয়ে যায় হাওড়া ব্রিজের উপর যান চলাচল। দু’টো নাগাদ কলকাতা থেকে হাওড়াগামী সমস্ত গাড়ির গতি থমকে যায়। একই ভাবে হাওড়া ময়দান ও ফাঁসিতলা মোড়ের কাছ থেকেও কোনও গাড়ি হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে পারেনি।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক অফিসার জানান, দুপুরের পরে কলকাতা থেকে হাওড়াগামী গাড়ির সংখ্যাই বেশি থাকে। ওই সময়ে যানজট হলে কলকাতায় তার প্রভাব পড়ে বেশি। হাওড়া ব্রিজে যানজট হওয়ায় সমগ্র মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার একাংশে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। মহাত্মা গাঁধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, প্রিন্সেপ ঘাট এলাকা, ধর্মতলা, শিয়ালদহ, মেয়ো রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, ডালহৌসি, হেস্টিংস-সহ সর্বত্র তার প্রভাব পড়ে। বিকেল তিনটে নাগাদ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও মহাত্মী গাঁধী রোডের মোড় ব্যারিকেড করে দেয় দেয় পুলিশ। গাড়ির জট তখন ধর্মতলা পর্যন্ত। একটি ধর্মীয় মিছিলে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতেও জট হয়।
মেয়ো রোড, প্রিন্সেপ ঘাট, শিয়ালদহ, হেস্টিংস চত্বরের হাওড়ামুখী গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। হাওড়া ময়দান, ফোরশোর রোড, মৌড়িগ্রাম, আলমপুর, শিবপুর, সাঁতরাগাছি, বাঁকড়া থেকে আসা গাড়িগুলিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে পাঠানো হয়। সাড়ে তিনটে নাগাদ হাওড়া ব্রিজে যানজট কমে। সাড়ে তিনটের পর থেকে কলকাতার রাস্তাতেও গাড়ি ফের গড়াতে শুরু করে। কিন্তু জট ছাড়তে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়।