আইন সমান হোক, পথে নিগৃহীতেরা

শান্তিনগরের মিতুল ব্যাপারি খাদ্য দফতরে চাকরি করেন। বিয়ে করেন ২০০৬ সালে। অভিযোগ, পরের বছরেই স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

দাবি: পোস্টার হাতে প্রতিবাদ। রবিবার, শ্যামবাজারে। নিজস্ব চিত্র

শান্তিনগরের মিতুল ব্যাপারি খাদ্য দফতরে চাকরি করেন। বিয়ে করেন ২০০৬ সালে। অভিযোগ, পরের বছরেই স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। তাতে মিতুলের ৫৯ দিনের জেল হয়। পরে অবশ্য ছাড়া পান তিনি। মিতুলের দাবি, আদালতও পরবর্তীকালে জানিয়ে দেয়, বধূ নির্যাতনের মামলাটি মিথ্যা। কিন্তু ৫৯ দিন জেলে থাকার ফলে চাকরি জীবনে আজ পর্যন্ত পদোন্নতি হয়নি মিতুলের। মেলেনি কোনও বর্ধিত বেতনও। গত ১৩ বছর ধরে এ ভাবে জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে রাস্তায় নেমেছেন ন্যায়বিচার পেতে।

Advertisement

রবিবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে এক অনুষ্ঠানে মিতুলের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছিলেন আরও অনেকে। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন নিউ টাউনের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষাল। তিনি জানালেন, খড়্গপুর আইআইটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে কাজের সূত্রে চলে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। ২০১১ সালে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে দেখাশোনা করে বিয়ে করেন।

কিন্তু অভিজিতের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় স্ত্রীর অত্যাচারে তাঁকে চাকরি ছে়ড়ে চলে আসতে হয়। অথচ আসার পরে তাঁর বিরুদ্ধেই পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন স্ত্রী। অভিজিৎ বলেন, ‘‘আমি আমেরিকায় আমার অ্যাকাউন্ট থেকে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৩২ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলাম। সেই প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। তার পরেও পুলিশ আমার বিরুদ্ধেই পণের দাবিতে মামলা রুজু করল! সেই মামলা এখনও চলছে।’’

Advertisement

এঁদের সকলেরই অভিযোগ, আইন এ দেশে নিরপেক্ষ নয়। আয়োজক সংস্থার তরফে ঋত বন্দ্যোপাধ্যায়, অনামিকা দত্তেরা দাবি তুললেন, ‘‘শুধু মেয়েদের জন্য নয়। আইন সমান হোক নারী-পুরুষ সকলের জন্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement