অপরাধ কমলেও নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চাইছে না লালবাজার। ফাইল ছবি।
কলকাতা পুলিশের কোন এলাকায় কী ধরনের অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে চেয়ে গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। এর জন্য এলাকা ধরে ধরে গত কয়েকবছরের অপরাধের বিবরণ খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, এলাকাভিত্তিক অপরাধের প্রবণতা চিহ্নিত হলে সেইমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায় লালবাজার।
এ দিকে, লালবাজার জানিয়েছে শহরে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অপরাধ অনেকটা কমেছে। তাদের হিসেবে, ২০২১ সালে খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৪৫টি। সেটাই ২০২২ সালে কমে হয়েছে ৩৪টি। একই ভাবে ২০২১ সালে ডাকাতি এবং লুটের ঘটনা হয়েছিল ২৩টি। ২০২২-এ তার সংখ্যা ২১। মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সংখ্যাও ২০২১ -এর তুলনায় হ্রাস পেয়েছেবলে জানানো হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, কলকাতায় অপরাধের হার অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় অনেক কম ছিল ২০২১ সালে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর ২০২১-এর হিসেব অনুযায়ী, কলকাতা ছিল সবচেয়ে নিরাপদ শহর। সেই তকমা ধরে রাখতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।
তবে অপরাধ কমলেও নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চাইছে না লালবাজার। নির্ভয়া প্রকল্পের টাকায় শহরে বসানো হচ্ছে আরও ৩৫০০ সিসি ক্যামেরা। বর্তমানে ট্র্যাফিক এবং সাধারণ ক্যামেরার সংখ্যা ৫০০০-এর কিছু বেশি। সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়লে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো হবে বলে আশা পুলিশের।
এর পাশাপাশি, বসানো হচ্ছে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট রিডিং ক্যামেরা। বর্তমানে শহরে ওই ক্যামেরার সংখ্যা ২৫। চলতি বছরে আরও ১৫০টি এমন ক্যামেরা বসানো হবে। পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, ওই ক্যামেরাস্বয়ংক্রিয় ভাবে গাড়ির নম্বর পড়তে পারে। ফলে কোনও গাড়ি অপরাধ করেপালিয়ে গেলে সেটি দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।