লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে আলিপুরের আবহাওয়া দফতর। ওই নিম্নচাপ শেষমেশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা বলা না গেলেও তেমন পরিস্থিতিতে শহরের কোন কোন রাস্তায় গাছ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হলে কোন কোন রাস্তা জলমগ্ন হতে পারে, তা-ও চিহ্নিত করতে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে।
সেই নির্দেশের ভিত্তিতে প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ড নিজেদের এলাকার কোন কোন রাস্তায় জল জমতে পারে, কোথায় কোথায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ক্ষীণতম আশঙ্কা রয়েছে, সে বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিয়েছে। শহরের কোথায় কোথায় গাছের ডাল কাটার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছিল লালবাজার। সেই তালিকাও পাঠিয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলি। মনে করা হচ্ছে, ওই তালিকা নিয়ে পুলিশের তরফে পুরসভার সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে, যাতে দুর্যোগের আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। লালবাজারের কর্তারা জানাচ্ছেন, শহরে ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ পড়ে গেলে তা সরানোর কাজ প্রথম শুরু করেন ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরাই। এর জন্য প্রতিটি গার্ডেই রয়েছে গাছ কাটার যন্ত্র।
লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, কোনও এলাকায় বাতিস্তম্ভ থেকে বিদ্যুতের খোলা তার বেরিয়ে আছে কি না, তা দেখার জন্যও ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে বলা হয়েছে। যাতে তাঁরা সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে বার বার দেখা গিয়েছে, বাতিস্তম্ভ থেকে বেরিয়ে থাকা বিদ্যুতের তার বৃষ্টির জমা জলে পড়ায় সেই এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই এ বছর বৃষ্টির মরসুম শুরু হওয়ার আগেই সব কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে লালবাজার।