লালবাজারের ক্রাইম কনফারেন্সে আলোচনা হল পুরভোটের পুলিশি প্রস্তুতি নিয়ে। শুক্রবার ওই বৈঠকে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ শুধু ওসি নন, থানার প্রত্যেক অফিসারকে জানতে হবে কোন থানা এলাকার কোথায় ক’টি বুথ রয়েছে। ভোটে কোনও ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট বুথে প্রত্যেক আধিকারিক যাতে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে ছোট ঘটনাকেও। নজরদারি বাড়ানোর সঙ্গে দাগি অপরাধীদের ধরা ও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে উদ্যোগী হতে হবে।
এই প্রথম পুরভোটে সংযুক্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকছে কলকাতা পুলিশ। বেহালা, যাদবপুর, গার্ডেনরিচে নির্বাচনী বুথে নজরদারি দিতে থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ভোটে সংযুক্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবে রাজ্য পুলিশও।
শহরে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই কমেছে বলে এ দিন সন্তোষ প্রকাশ করেন সিপি। দিন কয়েক আগে ছত্তীসগঢ় থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করে আনার জন্য বৌবাজার থানার এসআই মানবচন্দ্র দে ও এএসআই ভিকি সোনকারের হাতে এ দিন শংসাপত্র তুলে দেন কমিশনার। পাশাপাশি বেহালায় চলন্ত বাস থেকে ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরার জন্য শংসাপত্র দেওয়া হয় নিউ আলিপুর থানার দুই কনস্টেবল পলাশ পাত্র ও গৌতম ঘড়াইকেও।