ফাইল চিত্র।
ট্র্যাফিক পুলিশ-সহ বিভিন্ন ইউনিটে নিয়মিত চলাচলকারী গাড়িরদূষণ ছাড়পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল লালবাজার। শনিবারেরমধ্যে ওই ছাড়পত্র জমা দিতেবলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার একটি রথযাত্রার সূচনাকরতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তায় তিনি দেখতে পান, পুলিশের একটি গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিষয়টি তিনি কলকাতা পুলিশেরশীর্ষ কর্তাদের নজরে আনেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশের গাড়ির দূষণের শংসাপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশের কোনও যোগসূত্র রয়েছেকি না, তা নিয়ে লালবাজার কিছু বলতে চায়নি।
শহরের রাস্তায় হাজারের বেশি পুলিশের গাড়ি চলাচলকরে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। এ ছাড়া রয়েছে পুলিশের সার্জেন্ট কিংবা থানার টহলদার বাহিনীর মোটরবাইকও। পুলিশ সূত্রের খবর, এই সব গাড়ি ওমোটরবাইকের দূষণ শংসাপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশদেওয়া হয়েছে। জমা হলেই সে সব খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, সরকারি বাসের মতো পুলিশের বেশ কিছু গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় নিয়মিত। শহরে কোনও গাড়ি দূষণ ছড়াচ্ছে কি না, তা দেখার কথা যে আইনরক্ষকদের, গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া ছড়ানোর অভিযোগওঠে তাঁদেরই বিরুদ্ধে। যদিও লালবাজার জানিয়েছে, বছরে দু’বার করে ওই দূষণ শংসাপত্র জমা দেওয়ারনিয়ম রয়েছে। যা প্রতি বছরইনিয়ম মেনে জমা করা হয়ে থাকে। তাদের দাবি, তার আগে অবশ্যইসংশ্লিষ্ট গাড়ির দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখাহয়ে থাকে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, শুক্রবার রাতেই লালবাজারের তরফে বিভিন্ন ইউনিটের কাছেগাড়ির ওই শংসাপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার কী হয়েছিল?
পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, রথযাত্রায় যোগ দিতে যাওয়ারপথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের আগে ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিকের গাড়ি ছিল। মাঝরাস্তায় সেটিথেকে কালো ধোঁয়া বেরোতেথাকে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসতেই তিনি উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের তা দেখার জন্য বলেন। অনুমান করাহচ্ছে, এর পরেই পুলিশকর্তারা ওই বিষয় নিয়ে সর্তক করে দেন তাঁদের বাহিনীকে।
পরিবেশবিদদের মতে, শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা এমনিতেই বেশি, যার সব থেকে বড় কারণযানবাহনের ধোঁয়া। লালবাজার সূত্রের খবর, পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখেই ডিজ়েলের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার শুরু হয়েছে। আপাতত ১৭টি বৈদ্যুতিক গাড়ি পুলিশ আধিকারিকেরা ব্যবহারকরছেন। মাসকয়েকের মধ্যে ওই ধরনের আরও কিছু গাড়ি চলে আসবে বাহিনীর হাতে।