বিশ্বকাপ ফাইনাল কে কেন্দ্র করে বিনামূল্যে খাবার ও পানীয়। — ফাইল চিত্র।
গোল হলে থাকছে কোথাও বিনামূল্যের খাবার, কোথাও আবার ‘অফার’ থাকছে ফ্রি-কিকের উপরে। কোনও পানশালা ম্যাচ চলাকালীন কর্নার বা পেনাল্টি হলেই বিনামূল্যে পানীয় দেওয়ার বন্দোবস্ত শুরু করেছে। রবিবার বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল চলাকালীন চমক দিতে এমনই প্রস্তুতি নিচ্ছে শহরের একাধিক রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে পানশালা। পাল্লা দিতে আয়োজনে পিছিয়ে থাকছে না শহরের শপিং মলগুলিও।
রবিবার রাত সাড়ে আটটায় আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। মেসি এবং এমবাপেকে নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত গোটা শহর। আর বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত শহরে ফুটবল উৎসবে শামিল হতে পিছিয়ে থাকছে না রেস্তরাঁ, পানশালাগুলির একাংশ। খেলা দেখানোরবন্দোবস্তের পাশাপাশি তারা হাজির করেছে খাবার অথবা পানীয়ে ‘ফুটবল অফার’। পার্ক স্ট্রিটের এক রেস্তরাঁয় খেলা চলাকালীন গোল হলেই পাতে বিনামূল্যে পৌঁছে যাবে খাবার। ওই রেস্তরাঁর ম্যানেজার অনীক তিওয়ারি বলেন, ‘‘একটা করে গোল হবে আর টেবিলে আমরা কাবাব বা ওই জাতীয় কিছু দেওয়ারপরিকল্পনা করেছি। এখন যাঁরা খেতে আসছেন, তাঁদেরও ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন বিশেষ অফারের কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ নিউ টাউনের একটি রেস্তরাঁর মালিক প্রণব সিংহ বলেন, ‘‘আমরা ফাইনালে ওঠা দুই দেশের রকমারি পদে ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি রবিবার। এ ছাড়া গোলহলেও আবার তার উপরে বিশেষছাড় থাকছে।’’
ফাইনালের পরিকল্পনা সারা ওয়াটারলু স্ট্রিট, শরৎ ব্যানার্জি রোডের একাধিক রেস্তরাঁয়ও। শরৎ ব্যানার্জি রোডের এক রেস্তরাঁর কর্ণধার শরণজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আমাদের নানা ছাড় চলছে। তবে ফাইনাল তো সব সময়ে স্পেশ্যাল। তাই স্পেশ্যাল অফার থাকবে গোটা ম্যাচের সময় জুড়েই।’’ ট্যাংরার একটি রেস্তরাঁ আবার ফাইনালে ফ্রি কিক বা পেনাল্টি হলেই গ্রাহকদের ঠান্ডা পানীয় দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ছাড়া থাকছে বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানোর আয়োজন। ‘হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র প্রেসিডেন্ট সুদেশ পোদ্দার বলেন, ‘‘আমাদের তো সারা বছরই উৎসবকে আকর্ষণীয় করতে নানা ছাড় থাকে। এখন তো উৎসব মানেই ফুটবল বিশ্বকাপ। তাই চমক দিতে পিছিয়েথাকব কেন!’’
প্রস্তুতিতে পিছিয়ে থাকছে না শহরের শপিং মলগুলিও। কেনাকাটা করতে আসা আমজনতার জন্য থাকছে খেলা দেখানোর পাশাপাশি একাধিক আয়োজন। দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলের জেনারেল ম্যানেজার দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখন তো শপিং মল জুড়েই নানা ছাড় শুরু হতে চলেছে। ফাইনালের জন্য আমাদের বিশেষ আকর্ষণ বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানো। এ ছাড়া, গোটা শপিং মল বিশ্বকাপের থিমে সাজানো যায় কি না, তার পরিকল্পনা চলছে।’’