TMC Brigade Rally

ঠিক জায়গায় পার্কিং নিশ্চিত করতে আজ রাত থেকেই পথে বাহিনী 

রাত থেকেই যাতে গাড়ির পার্কিং নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট জায়গাতে হয়, তার জন্য তখন থেকেই রাস্তায় নামছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩৯
Share:

ব্রিগেডের প্রস্তুতি চলছে ময়দানে। সিপি ব্রিগেড ময়দানে দেখছেন প্রস্তুতির কাজ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

ব্রিগেডে কাল, রবিবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা রয়েছে। আর ওই সভাকে কেন্দ্র করে শহরে যানজট হলে তা যাতে দ্রুত সামলানো যায়, তার জন্য সচেষ্ট হল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন কয়েক হাজার গাড়ি-বাস সমর্থকদের নিয়ে শহরে আসবে। দূরের জেলা থেকে সমর্থকদের নিয়ে গাড়ি ও বাস আসতে শুরু করবে আজ, শনিবার রাত থেকেই। তাই রাত থেকেই যাতে গাড়ির পার্কিং নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট জায়গাতে হয়, তার জন্য তখন থেকেই রাস্তায় নামছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ দল।

Advertisement

শুক্রবার এ বিষয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। সেখানে গাড়ি পার্কিং যাতে ঠিক ভাবে করা হয়, তার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় অন্য গাড়ির চাপ কম থাকব। ফলে শহরের বাকি অংশে যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে, সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত ১৫টি পার্কিং লট যাতে ঠিক মতো ব্যবহার করা হয়, তা দেখার জন্য বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লালবাজার জানিয়েছে, পার্কিংয়ের জন্য ব্রিগেডের আশপাশের সব রাস্তাকে পাঁচটি ভাগ করা হয়েছে। সেখানে আজ রাত ১০টা থেকে মোতায়েন থাকবে ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ বাহিনী। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন এক জন করে ইনস্পেক্টর। সঙ্গে থাকবেন দু’জন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট এবং ২৬ জন পুলিশকর্মীর একটি বাহিনী। তাঁরাই ব্রিগেডমুখী গাড়িগুলিকে নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিংয়ে সাহায্য করবেন। এক পুলিশকর্তা জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে, সমাবেশের আগের রাতে রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশের বাহিনী না থাকলে সমর্থকদের গাড়ি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পার্ক করা হয়। এর ফলে সকালে যান চলাচলে অসুবিধা হয়। তাই এ বার আগেই বাহিনী নামিয়ে প্রথম থেকে অবস্থা আয়ত্তে রাখা হবে।

Advertisement

এ ছাড়া, রবিবার সমাবেশের সময়ে যান চলাচল ঠিক রাখা ও নির্দিষ্ট জায়গার পার্কিং করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য শহরকে দশটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। রবিবার ভোর ৪টে থেকে ওই দশটি সেক্টরে মোতায়েন করা হবে বাহিনী। প্রতি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন এক জন সহকারী নগরপাল বা এসি। ওই দশটি সেক্টরকে আবার ৭৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে দায়িত্বে থাকছেন এক জন করে ইনস্পেক্টর। তাঁর অধীনে থাকছে বাহিনী। তাঁরা ভোর থেকে শহর স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement