শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। —ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনা কমাতে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে হাম্প বা স্পিড ব্রেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। লালবাজারের তরফে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভাকে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এর পরেও প্রশ্ন থাকছে যে, বেপরোয়া যান শাসনে পুলিশ কড়াকড়ি না করলে শুধুমাত্র পথে হাম্প বানিয়ে দুর্ঘটনা কমানো যাবে তো?
লালবাজার সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে পথ দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে একাধিক রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। রাস্তার নাম উল্লেখ করে কলকাতা পুরসভাকে চিঠি পাঠিয়েছে লালবাজার। পুরসভা সূত্রের খবর, দমদম রোড, কাশীপুর রোড, বাগবাজার স্ট্রিট, কে সি ঘোষ রোড, হরলাল মৈত্র স্ট্রিট, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউয়ে জরুরি ভিত্তিতে হাম্প তৈরির কাজ শুরু করার অনুরোধ করেছে লালবাজার। ওই রাস্তাগুলির ১৬টি জায়গায় হাম্প বানানোর কথা বলা হয়েছে। রাস্তাগুলির কোন কোন জায়গায় হাম্প তৈরি করা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমতে পারে, চিঠিতে তারও উল্লেখ করা হয়েছে। আবার স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা যাতে অত্যধিক না হয়ে যায়, সে দিকেও নজর রাখার কথা বলেছে লালবাজার। কলকাতা পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘রাস্তাগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বাকি কাজ হবে।’’
শহরে বেপরোয়া গাড়ির গতি বরাবরই পুলিশের মাথাব্যথা। দুর্ঘটনা কমাতে তাই অপেক্ষাকৃত বড় রাস্তায় পুলিশি নজরদারি, সিসি ক্যামেরা বসিয়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু অপেক্ষাকৃত ছোট রাস্তায় এই ধরনের ব্যবস্থা তুলনামূলক ভাবে কম বলে অভিযোগ। এমনকি অনেক সময়ে সেখানে পুলিশি নজরদারির বালাই থাকে না বলে দাবি। নজরদারির এই ঢিলেমির সুযোগ নিয়ে সেই সব রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য বাড়ে। ফলে রাতের পাশাপাশি দিনেও পিছনে একাধিক জনকে বসিয়ে গতির তুফান তোলেন বহু বাইকচালক। ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এমন বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা কমাতেই কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা কমাতে পুলিশ সর্বদা সক্রিয়। বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয় বছরভর। পুলিশি নজরদারিও থাকে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাড়িচালক, সকলে সতর্ক হলেই দুর্ঘটনা কমবে।’’