প্রতীকী ছবি।
মধ্য কলকাতার সঙ্গে হাওড়া সেতুর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল বা চণ্ডীদাস সেতু। এ বার ওই উড়ালপুলের একাংশে মেরামতির কাজ করতে চান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর (কলকাতা বন্দর) কর্তৃপক্ষ। সেই কাজ চলাকালীন উড়ালপুলের একটি র্যাম্প দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশি সূত্রের খবর, সাঁতরাগাছি সেতুর মেরামতির জন্য বিদ্যাসাগর সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তার ফলে শহরের রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে লালবাজার ঠিক করেছে, ওই কাজ মিটে গেলে ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল বন্ধ করে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন হয়েছিল ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুলের। কলকাতার দিকে যেখানে হাওড়া সেতু শেষ হচ্ছে, সেখানেই শুরু হচ্ছে এই উড়ালপুল। প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল ক্যানিং স্ট্রিটের এক প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এর দু’টি র্যাম্প— পূর্বমুখী এবং পশ্চিমমুখী। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উড়ালপুলটি থাকে একমুখী। মূলত হাওড়ার দিক থেকে আসা গাড়িগুলি এই উড়ালপুল ধরে শহরে প্রবেশ করে ব্রেবোর্ন রোডে পৌঁছয়। রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অবশ্য উড়ালপুল দিয়ে উভয় দিকেই গাড়ি চলাচল করে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এই ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে কয়েক হাজার গাড়ি। নীচেও সর্বক্ষণ লেগে থাকে গাড়ি, ঠেলাগাড়ি এবং মানুষের ভিড়।
সম্প্রতি ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুলের বেহাল দশা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ওই উড়ালপুলের স্তম্ভের গা বরাবর শেওলার মোটা আস্তরণ পড়েছে। নীচ দিয়ে যেতে গেলে মাথায় চাঙড় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তাড়া করে। সূত্রের খবর, উড়ালপুলের এমন অবস্থার কথা জেনে গত কয়েক মাস ধরে সেটি মেরামতির কাজ করছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এক পুলিশ অফিসার জানান, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি স্তম্ভ মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে পূর্ব এবং পশ্চিমমুখী র্যাম্প দু’টিতে ওঠার মুখে স্তম্ভ মেরামতির কাজ। সেই কাজ করতে গেলে উড়ালপুলে বন্ধ রাখতে হবে গাড়ি চলাচল।
সূত্রের খবর, কাজ শুরু হলে কী ভাবে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি পুলিশ। তবে শহরে ঢোকার মুখে এই উড়ালপুলটি বন্ধ রাখা হলে হাওড়া সেতুতে যে যানজট হবে, তা ভেবেই শঙ্কিত লালবাজারের কর্তারা।