— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সমন্বয় বৃদ্ধি করতে এবং এলাকার বিভিন্ন তথ্য সহজে পেতে এ বার প্রতিটি থানায় এক জন করে নোডাল অফিসার রাখতে চলেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানায় এক জন করে
অফিসারকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কী করণীয়, সেই সম্পর্কে জানাতে প্রতিটি ডিভিশনে আলাদা করে বৈঠকও করবে এসটিএফ। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে সেই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।
মূলত জঙ্গি ও মাওবাদী দমনের উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালে কলকাতা পুলিশ তৈরি করেছিল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। এর পাশাপাশি, জাল নোট উদ্ধার করা থেকে থেকে শুরু করে সাইবার নজরদারিও করে থাকেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। কাজের সুবিধার জন্য এসটিএফ-কে পৃথক থানার মর্যাদাও দেওয়া হয়েছে। স্বশাসিত এসটিএফের বিভিন্ন শাখা রয়েছে অপরাধ দমনে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে যুক্ত এক অফিসার জানান, প্রতিটি থানা এলাকার ভিতরের খবর জোগাড় করার জন্যই নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। আগে কয়েকটি থানায় নোডাল অফিসার থাকলেও বর্তমানে নতুন করে সব থানায় তাঁদের নিযুক্ত করা হবে।
লালবাজার সূত্রের খবর, দুষ্কৃতী এবং গুন্ডা দমনে প্রতিটি থানায় এক জন করে গুন্ডা দমন
অফিসার বা এআরও আছেন। থানা এলাকার কোথায়, কোন দুষ্কৃতী ঘাঁটি গেড়েছে বা অপরাধ করছে, সেই খোঁজ নেওয়াই তাঁদের কাজ। একই সঙ্গে, থানার বাছাই করা কনস্টেবলদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারের একটি বিশেষ দল থাকে। যারা এলাকায় ঘুরে খবর সংগ্রহ করে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট থানা এলাকার কোথায় কে, কী করছে কিংবা কোনও বাড়ি ভাড়া নিয়ে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হচ্ছে কি না, সেই খবর প্রথম পান ওই বিশেষ দলের পুলিশকর্মীরাই। সেই খবর বিশ্লেষণ করে আরও গভীরে যেতে ওই তথ্য নিয়ে কাজ করতে চায় এসটিএফ।
বছরকয়েক আগে হরিদেবপুর থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে লুকিয়ে থাকা চার জঙ্গীকে গ্রেফতার করেছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, থানার অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তথ্যের আদানপ্রদান ঘটলে এলাকার সব খবর দ্রুত পাওয়া যাবে। এতে শহর সুরক্ষিত রাখতে সুবিধা হবে।