প্রতীকী ছবি।
বেপরোয়া মোটরবাইকের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান ফের শুরু করল লালবাজার। ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং বাইক চালকদের সচেতন করতে বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচার চালাতে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। যার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেপরোয়া বাইক চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে একাধিক ট্র্যাফিক গার্ড।
গত সাত দিনে শহরে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন বাইক আরোহীর। ওই সময়ের মধ্যেই বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। একের পর এক মোটরবাইক দুর্ঘটনা নিয়ে তাই অবহেলা করতে চাইছেন না লালবাজারের কর্তারা।
লালবাজার সূত্রের খবর, বেপরোয়া বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। সোমবার রাতে ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকদের কাছে পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, একই বাইকে তিন জন সওয়ার দেখলে, হেলমেট ছাড়া আরোহী অথবা বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাতে দেখলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
নতুন করে বাড়তে থাকা সংক্রমণের তীব্রতা এবং বিধানসভা নির্বাচনের জন্য শিথিল হয়েছিল বেপরোয়া বাইকের বিরুদ্ধে অভিযান। অভিযোগ, পুলিশ নরম হতেই অলিগলিতে ফের বেপরোয়া বাইক আরোহীদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। কোথাও একটি বাইকে তিন জন আরোহী, তো কোথাও হেলমেট ছাড়াই সওয়ার হয়ে তীব্র গতিতে ছুটছেন তাঁরা। ফলে বাড়ছে মোটরবাইক দুর্ঘটনা।
ধরপাকড়ের পাশাপাশি প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডকে নিজের এলাকায় বেপরোয়া বাইকের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে। তাতেও ফল না হলে ওই সব এলাকায় জরিমানা-সহ আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, গার্ডের ওসিদের ওই অভিযানের তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের ছোট রাস্তা কিংবা অলিগলিতে যাতে মোটরবাইকের দাপট কমানো যায়, তার জন্য বেশি নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশের মতে, যে সব এলাকায় আইনভঙ্গের প্রবণতা বেশি, মূলত সেখানেই প্রচারের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
পথচারীদের একটি অংশের অভিযোগ, শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বেপরোয়া মোটরবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান কম চালানো হয়। সেখানে নিয়ম ভাঙতে দেখলেও ধরপাকড় করা হয় না। এ জন্য পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাবকে দায়ী করছেন তাঁরা।
পুলিশের অবশ্য হুঁশিয়ারি, শহরের সর্বত্র নির্দিষ্ট গতির চেয়ে বেশি গতিতে বাইক চালাতে দেখলেই জরিমানা এবং তিন মাসের জন্য বাইকচালকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।