—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়েধোঁয়াশার মধ্যেই আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করল কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডকে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন ট্র্যাফিক গার্ড থেকে কত সংখ্যক সার্জেন্ট, এসআই ও কনস্টেবলকে ভোটের কাজে পাঠানো হবে, সেই সংখ্যাও তাদের জানিয়েদেওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রথম দফার এই সংখ্যা প্রয়োজনে আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। থানাগুলিতেও লালবাজারের তরফে একই নির্দেশ গিয়েছে। সেই সঙ্গে ভোটের কাজে যাওয়া পুলিশকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন, বিছানারচাদর, বালিশ থেকে শুরু করে মশা মারার তেল, জলের বোতল, সাবান ও মগের জোগান দিতে দরপত্রডাকা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখারনির্দেশ দেওয়া হলেও সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। যদিও এর আগে কমিশনের তরফে লালবাজারকে মৌখিকভাবে ১২ হাজার পুলিশকর্মীলাগতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত লিখিত নির্দেশ না এলেও বাহিনী যাবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে লালবাজার। জানা গিয়েছে, কোন গার্ডে কত সংখ্যক কর্মী আছেন, তা জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী কর্মীদের প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের সেই নির্দেশে আলাদা ভাবে সার্জেন্ট, এসআই, কনস্টেবল এবং হোমগার্ডের সংখ্যা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্জেন্ট, এসআই, কনস্টেবল ও হোমগার্ড মিলিয়ে ১৫১ জন কর্মী চাওয়া হয়েছে সাউথ ট্র্যাফিক গার্ড থেকে। এটাই সর্বাধিক। এ ছাড়া, হেড কোয়ার্টার্স থেকে ১২৯ জন, জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ড থেকে ১২৬ জনকে প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে। থানাগুলিতেও একই ভাবে নির্দেশ গিয়েছে বলে খবর। পুলিশকর্তাদের একাংশজানাচ্ছেন, ভোটের কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা বা না-থাকার উপরেই নির্ভর করছে কত সংখ্যক পুলিশকর্মীকে সেই কাজে লাগানো হবে। তবে, সমস্ত রকম সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন কর্তারা। প্রয়োজনে আরও এক বার গার্ডগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হতে পারে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাহিনী ভোটের কাজে যাবে ধরে নিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখার কাজও শুরু করেছে লালবাজার। দরপত্র ডেকে জলের বোতল থেকে শুরু করে চাদর, সাবান, মশা মারার তেল, মগ, ওআরএস থেকে শুরু করে যাবতীয় সামগ্রী মজুত করার কাজ চলছে। দরপত্রে ৭০০০টি মগ, ২৫০০ ওআরএসের প্যাকেট, ৮০০০টি জলের বোতলের উল্লেখ রয়েছে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কমিশনের তরফে নির্দেশ এলেই সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’