গুজব রুখতে কড়া পুলিশ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ লালবাজারের। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এ বার ২৮০ জনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে লালবাজার থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি রয়েছেন মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের বাসিন্দাও। কারও বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে, আবার কারও বিরুদ্ধে মৃত মহিলা চিকিৎসকের পরিচয় প্রকাশ করার অভিযোগ উঠে এসেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করেও গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। সূত্রের দাবি, গুজব ছড়ানোর কাজে সমাজমাধ্যমে অনেক ভুয়ো প্রোফাইল ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে আন্দোলন ক্রমে জোরালো হচ্ছে। এ সবের মধ্যেই সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-সহ পোস্ট ছড়িয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফেও সমাজমাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। ভুল তথ্য থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুজব না ছড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, নির্যাতিতার পরিচয় গোপন রাখা সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ রয়েছে, সে কথাও পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু কলকাতা পুলিশই নয়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফেও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল রাজ্যবাসীকে।
পুলিশের তরফে বার বার সতর্ক করার পরেও গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি সমাজমাধ্যমে। এ বার ২৮০ জনকে নোটিস দিল কলকাতা পুলিশ। প্রসঙ্গত, ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এর আগে কলকাতার দুই চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ। সোমবার লালবাজারে গিয়ে হাজিরাও দিয়েছিলেন তাঁরা। রবিবারই লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল, আরজি করের ঘটনায় ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে সমাজমাধ্যমে প্রায় এক হাজার প্রোফাইলকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
আরজি করের ঘটনার পর থেকে কখনও ‘সিমেন’ সংক্রান্ত গুজব ভেসে উঠেছিল সমাজমাধ্যমে। কখনও আবার ‘মহাপাত্র’ পদবিধারী কোনও এক ব্যক্তিকে ঘিরে গুজব ছড়িয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এ সব গুজব নিয়ে আগেই একাধিক বার সতর্ক করেছেন শহরবাসীকে। পুলিশের তরফে সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল— সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ধরনের গুজব শুধু বিপজ্জনকই নয়, অনেকের ক্ষেত্রে তা ক্ষতিকরও। যাচাই না করা কোনও তথ্য সমাজমাধ্যমে শেয়ার করলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছিল লালবাজার।