Cyclone Dana

ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীদের নিয়ে পৃথক দল পুলিশের

লালবাজারের তরফে আজ রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের নিরাপদ জায়গায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে যাতে পুলিশকর্মীরা কোনও মতেই গাছ বা অস্থায়ী কোনও কাঠামোর নীচে আশ্রয় না নেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:২০
Share:

কলকাতা পুলিশ। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে শহরে। ঝড়ের দাপটে বিভিন্ন রাস্তায় ভেঙে পড়তে পারে একাধিক গাছ। শুধু তা-ই নয়, দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর মণ্ডপও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কলকাতা পুলিশের ২৬টি ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীদের নিয়ে পৃথক দল তৈরি করার নির্দেশ দিল লালবাজার। সেই দলের কাছে গাছ কাটার সমস্ত সরঞ্জামও থাকবে, যাতে তারা প্রয়োজনে ভেঙে পড়া গাছপালা রাস্তা থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে পারে।

Advertisement

লালবাজারের তরফে আজ রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের নিরাপদ জায়গায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে যাতে পুলিশকর্মীরা কোনও মতেই গাছ বা অস্থায়ী কোনও কাঠামোর নীচে আশ্রয় না নেন। পাশাপাশি, পুলিশের গাড়ি খোলা আকাশের নীচে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আমপানের পরে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরাই প্রথমে ভেঙে পড়া গাছ সরাতে শুরু করেন। ট্র্যাফিক পুলিশের ওই বিশেষ দল ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি করে দল থাকছে প্রতিটি ডিভিশনে, লালবাজারে এবং পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে।

আজ বিকেলের দিকে ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে, যা পরের দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এর ফলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমার আশঙ্কাও রয়েছে। যার জেরে ব্যাহত হতে পারে যান চলাচল। লালবাজার জানিয়েছে, ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার যে সমস্ত রাস্তায় জল জমে, সেগুলি চিহ্নিত করতে। জল জমলে তা দ্রুত বার করতে যাতে পাম্প রাখা হয়, তার জন্য পুরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে পুলিশকে। এক পুলিশকর্তা জানান, বুধবার থেকেই পুরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলির তরফে। যাতে ঝড়-বৃষ্টির আগেই অতিরিক্ত পাম্পের ব্যবস্থা করা যায়।

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, মঙ্গলবারই থানাগুলিকে এক গুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো থানাগুলি বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বুধবার ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে বলা হয়েছে। যাতে ঝড়-পরবর্তী সময়ে পুলিশের মধ্যে কোনও সমন্বয়ের সমস্যা না থাকে। এরই পাশাপাশি, এ দিন থেকে হোর্ডিং এবং বাঁশের কাঠামো খোলার জন্য পুলিশের তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

বুধবার দুপুর থেকেই লালবাজারে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সেখানে থাকছেন পুরসভা, পুলিশ, দমকল, এনডিআরএফ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা। সাধারণ নাগরিকদের জন্য রাখা হয়েছে চারটি হেল্পলাইন নম্বর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement