—প্রতীকী চিত্র।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দমদম জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেও দীর্ঘদিন খোঁজ ছিল না বলে অভিযোগ। এ বার পলাতক ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, ধৃতের নাম রামবাবু নস্কর। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার আটঘরা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে চারু মার্কেট থানার পুলিশ। ২০ বছর আগে তার বিরুদ্ধে তিলজলা থানায় দায়ের হওয়া একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুর আদালত। সেই পরোয়ানাতেই পুলিশ রামবাবুকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০ বছর আগে দমদম জেলের প্রাচীরে মই লাগিয়ে পালিয়েছিল রামবাবু। সঙ্গে ছিল বৈখা কিমা ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ বিনোদ-সহ চার জন। মায়ানমারের বাসিন্দা বৈখাকে মাদক পাচারের অভিযোগে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো বা এনসিবি গ্রেফতার করে। মূলত বিনোদের সাহায্যে ওই পাঁচ জন সে দিন দমদম জেল থেকে পালায়।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, এর বছরখানেক বাদে আদালতে আত্মসমর্পণ করে রামবাবু। পরে জামিনও পায়। কিন্তু অভিযোগ, জামিনের পর থেকেই খোঁজ ছিল না তার। আদালত বার বার সমন পাঠালেও সে শুনানিতে হাজিরা দেয়নি। এর মধ্যে ২০০৩ সালে তিলজলা থানার একটি অস্ত্র মামলায় রামবাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই পরোয়ানা কার্যকর করতে চারু মার্কেট থানাকে নির্দেশ দেন বিচারক। থানা সেই নির্দেশ অনুযায়ী রামবাবুকে গ্রেফতার করতে না পারায় আদালত এক তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে অবশ্য আদালত রামবাবুকে গ্রেফতার করার জন্য অতিরিক্ত সময় দেয়।
চারু মার্কেট থানার পুলিশের একটি দল মোবাইলের সূত্র ধরে জানতে পারে, আটঘরায় রয়েছে রামবাবু। শুক্রবার রাতে পুলিশ সেখানে হানা দিলে রামবাবু এলাকা ছেড়ে পালায়। ধাওয়া করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি ঝুপড়ি থেকে ধরা হয় তাকে।