কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে পোস্ট হওয়া মিম।
লকডাউনের গুরুত্ব বোঝাতে মিম বানিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল কলকাতা পুলিশ। উত্তমকুমার ও কমল মিত্র অভিনীত একটি ছবির দৃশ্য দিয়ে ওই মিম কলকাতা পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। ওই ছবির সঙ্গে কলকাতা পুলিশ যে বার্তা দিয়েছে, তা কি আদৌ দেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
ওই মিমে ব্যবহার করা হয়েছে উত্তমকুমার এবং কমল মিত্র অভিনীত একটি ছবির দৃশ্য। সেখানে উত্তমকুমারের ‘স্পিচ বাবল’-এ লেখা হয়েছে, “তা হলে আপনি বলতে চান যে, লকডাউনে জরুরি দরকার ছাড়া বাইরে বেরলে কলকাতা পুলিশ আমার বারোটা বাজিয়ে দেবে?” কমল মিত্রের ‘স্পিচ বাবল’-এ লেখা, “বলতে চান নয়, বলছি!”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বারে বারেই কঠোর হওয়ার পাশাপাশি মানবিক হওয়ার বার্তাও দিচ্ছেন। এর পরেও পুলিশ কী ভাবে এমন ‘বারোটা বাজানোর’ মিম বানাতে পারে? প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকরা। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ওই মিমের কমেন্ট বক্সে এক জন লিখেছেন, ‘‘ভাবতে পারছি না আপনাদের ফেসবুক পেজ থেকে এ রকম মিম হচ্ছে!’’
আরও পড়ুন: স্তব্ধ অর্থনীতি, কিছু কল কারখানা দ্রুত খুলতে সওয়াল শিল্পমন্ত্রকের
সোমবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ওই মিমটি পোস্ট করার পর লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট বেড়েই চলেছে। কেউ বলছেন, ‘‘কলকাতা পুলিশও তা-হলে মিম বানায়!’’ কেউ লিখছেন, ‘‘আমি সহমত। আশা করি মানুষ খুব তাড়াতাড়ি সচেতন হবেন। শুটিয়ে লাল করে দেওয়াই উচিত।’’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘আগেই মারবেন না প্লিজ। একটু কথা শুনবেন... খুব লাগে!’’
আরও পড়ুন: কাজ নেই=পয়সা নেই আকালের ভয়াল সঙ্কেতে দিলীপ মাঝির বৃত্তান্ত
দেখুন সেই পোস্ট:
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় মানুষ যাতে লকডাউন মেনে চলেন, তা নিয়ে নানা পন্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কখনও কঠোর হতে দেখা গিয়েছে। কখনও মানবিক হয়ে পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাদের। তাদের গোটা উদ্যোগই সর্বত্র প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু এ দিনের মিম বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল তাদের।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)