ফাঁদে পা, ধৃত জাল নোটের কারবারি

পেশায় ট্রাকচালক মজিদের থেকে ১ লক্ষ ৭১ হাজার জাল নোট মিলেছে। সব ক’টি ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেড় লক্ষ টাকারও বেশি জাল নোট-সহ এক ব্যক্তিকে ধরল বন্দর বিভাগের বিশেষ পুলিশ (এসএসপিডি)। সোমবার রাতে খিদিরপুরের ঘটনা। ডিসি (বন্দর) সৈয়দ ওয়াকার রেজা জানান, ধৃতের নাম মহম্মদ মজিদ। বাড়ি ইলাহাবাদে। পেশায় ট্রাকচালক মজিদের থেকে ১ লক্ষ ৭১ হাজার জাল নোট মিলেছে। সব ক’টি ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট। আলিপুর আদালতে ধৃতের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।

Advertisement

মজিদকে জেরা করে এসএসপিডি-র তদন্তকারীরা জেনেছেন, সম্প্রতি কানপুরের এক ধাবায় আর এক ট্রাকচালকের সঙ্গে আলাপ হয় মজিদের। জাল নোটের কারবারে নামার কথা ওই চালকই বলেন। কথা ছিল, জাল নোট পৌঁছে দিলে মোট মূল্যের অর্ধেক কমিশন হিসেবে মিলবে। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি এক সোর্স মারফত শহরে জাল নোট ঢোকার কথা জানতে পারেন এসএসপি়ডি-র অফিসারেরা। সেই সূত্রেই মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন তাঁরা। সোমবার রাতে প্রথমে নারকেলডাঙা এলাকায় পৌঁছন মজিদ। সেখান থেকে ছদ্মবেশে থাকা পুলিশের ফাঁদে পা দিয়ে যান খিদিরপুরে। বন্দর বিভাগের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কার্ল মার্কস সরণি থেকে পাকড়াও করা হয়েছে মজিদকে।’’

এই ঘটনার পর একটি বিষয় নাড়া দিয়েছে গোয়েন্দাদের। তাঁরা বলছেন, এত দিন বাংলাদেশ থেকে এ শহরে জাল নোট ঢুকত। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ থেকে জাল নোট কী ভাবে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি রাজস্থানে হানা দিয়েও জাল নোট ধরেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই চক্রের চাঁই, বাংলাদেশি নাগরিক দারুল শেখ ফেরার। পুলিশ সূত্রের দাবি, তদন্তকারীদের একাংশের সন্দেহ, নেপাল সীমান্ত দিয়ে জাল নোট ভারতে ঢুকতে পারে। নোটগুলির গুণমানও খারাপ নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরে নতুন করে জাল নোটের চক্র তৈরি হচ্ছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। মজিদকে জেরা করে চক্রের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement