জোরকদমে চলছে কাজ। ছবি: টুইটার
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য যানজট বাড়তে পারে ধর্মতলায়। এমনই আশঙ্কা লালবাজারের। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হবে। তার জন্য রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের একটি অংশ আটকে কাজের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, কাজ শেষ করতে দু’বছর লাগবে। যদিও রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের একাংশ এখনই ছে়ড়ে দিতে রাজি নয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার ডিসি (ট্র্যাফিক) সুমিত কুমার-সহ কলকাতা পুলিশের কর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। সুমিতবাবু বলেন, ‘‘যানবাহন পাশাপাশি ওই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য পথচারী যাতায়াত করেন। রাস্তা আটকে রাখলে বড় সমস্যা হবে। তাই বিকল্প পথ খুঁজতে বলা হয়েছে।’’ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করেই কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি, ধর্মতলায় দু’দিকের ট্রামলাইন সংযুক্তিকরণের কাজ হবে। যাতে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ দিয়ে যান চলাচল পুরোটাই বন্ধ হয়ে যাবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ বন্ধ করা হলে ওই রাস্তার ধর্মতলামুখী গাড়িগুলিকে এসপ্ল্যানেড (ইস্ট) দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ওই রাস্তায় এমনিতেই গাড়ির চাপ বেশি। তার উপরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের গাড়ি এসে যুক্ত হলে পরিস্থিতি ঘোরালো হবে। আবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বাবুঘাটমুখী সব গাড়িকে নিউ রোড ও শহিদ মিনারের সামনে দিয়ে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের ভিতর দিয়ে পাঠানো হবে। এর প্রভাব পড়তে পারে এস এন ব্যানার্জি রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোডে। এক পুলিশকর্তা বলেন,‘‘ট্রামলাইন সংযুক্তিকরণ শুরু হলে তা আরও চাপ বাড়াবে।’’
তবে পুলিশ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পথচারীদের সমস্যাকে। এক পুলিশকর্তা জানান, পথচারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা না হলে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যানজটের আশঙ্কাও রয়েছে। এর প্রভাব পড়তে পারে বি বা দী বাগেও। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ধর্মতলায় সিটিসি বাসস্ট্যান্ডের মধ্য দিয়ে পথচারীদের জন্য রাস্তা তৈরির কথা বলা হয়েছে। ওই এলাকাও এখন মেট্রোরই দখলে।