হাওড়ায় কেআইটি রোডের একটি দোকানে মাংস পরীক্ষা করে দেখছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার।
ভাগাড়-কাণ্ডের জাল যে দিকে দিকে ছড়ানো, পুলিশি তদন্তে ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত। যদিও কলকাতা পুরসভার দাবি, এ শহরের ভাগাড় থেকে মৃত পশুপাখির মাংস কেটে আনার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে বাইরের ভাগাড় থেকে আনা মাংস যে কলকাতার হোটেল-রেস্তরাঁয় বিক্রি করা হত, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এ বার আরও কঠোর আইন চান পুরকর্তারা।
পুরকর্তাদের বক্তব্য, খাবারে ভেজাল থেকে শুরু করে পচা মাছ, মাংস বিক্রির কারবার রুখতে আইন বদলাতে হবে। বৃহস্পতিবার শহরের নামীদামি কিছু রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে ফুটপাতের বিরিয়ানির দোকানেও অভিযান চালায় পুরসভা। প্রায় ১৫টি দোকান ও রেস্তরাঁ থেকে এদিন কাঁচা মাংসের নমুনা তুলেছে পুরসভা।
এদিন পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ নিজেও ছিলেন ওই দলে। তিনি বলেন, ‘‘আইন আরও কড়া হওয়া দরকার। এত বড় পাপে মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।’’
এ দিন এসপ্লানেড এবং বেলেঘাটা এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দুটো দল অভিযানে বেরোয়। বেলেঘাটায় দলের সঙ্গে ছিল পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখা। ধর্মতলায় বহুজাতিক এক রেস্তরাঁতেও ঢোকে পুরসভার দল। সেখানে মজুত কাঁচা মাংস তুলে নেওয়া হয়।
আর একটি রেস্তরাঁয় সে সময় তড়কা তৈরি হচ্ছিল। তাতে বাজে গন্ধ পেতেই পুরো তড়কা ফেলে দেওয়া হয়। একটি মোমোর দোকানের মালিককে বলা হয়, খাবার বিক্রির আগে তার গুণগত মান যাচাই
করে নিতে।
মাংসের পাশাপাশি, বাণিজ্যিক বরফ ধরতেও চলে অভিযান। মেয়র পারিষদ জানান, বারবার বলা সত্ত্বেও সতর্ক না হওয়ায় মির্জা গালিব স্ট্রিটে এক আখের রস বিক্রেতার গাড়ি আটক করা হয়েছে। তিনি বাণিজ্যিক বরফ মিশিয়ে শরবত বিক্রি করছিলেন।
এ দিকে, ভাগাড়ের মাংস কলকাতায় বিক্রি হচ্ছে, এই অভিযোগে বিজেপি-র একদল কর্মী-সমথর্ক পুর ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরাও।