Calcutta News

গল্ফ গার্ডেন্সের কিশোরীকে ঘিরে কাটছে না ধোঁয়াশা

কিশোরীটি এখন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি। সেখানকার চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তার ঋতুস্রাব চলছে। তাই যৌনাঙ্গের বিশদ পরীক্ষা করা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৮ ০৫:৫৬
Share:

গল্ফ গার্ডেন্সের এই জায়গা থেকেই উদ্ধার হয় কিশোরী। ফাইল চিত্র।

গল্ফ গার্ডেন্সের রাস্তা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে ঘিরে ধোঁয়াশা কাটছে না। শুক্রবার সকালে তাকে পাওয়ার পরে অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে। হাসপাতালের একটি সূত্রও জানিয়েছিল, ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তার গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) সন্তোষ নিম্বলকর শনিবার দাবি করেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই কিশোরীর গোপনাঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। সম্ভবত রাস্তার মতো কোনও শক্ত জায়গায় পড়ে গিয়ে মাথায়, মুখে এবং হাতে আঘাত পেয়েছে সে।

Advertisement

কিশোরীটি এখন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি। সেখানকার চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তার ঋতুস্রাব চলছে। তাই যৌনাঙ্গের বিশদ পরীক্ষা করা যায়নি। ফলে তার উপরে যৌন অত্যাচার হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।

শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ যাদবপুর থানার ৪০/৯০বি প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের একটি আবাসন চত্বরের ভিতরের গলি থেকে বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে যাঁরা উদ্ধার করেছিলেন তাঁদের একাংশের দাবি, তার পোশাক ছেঁড়া ছিল। হাতে একাধিক আঁচড়ের দাগ, চোখেমুখে মারধরের চিহ্ন ছিল। ফলে সে নির্যাতনের শিকার হয়নি, এ কথা পুরোপুরি মানতে তাঁরা নারাজ।

Advertisement

পুলিশ এ দিন জানিয়েছে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত তার সম্পূর্ণ জবানবন্দি নেওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছে লালবাজারের একটি সূত্র। হাসপাতালের সুপারকে মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি।

শনিবার রাত পর্যন্ত কিশোরীটির পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। যদিও গোটা ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন বিস্তর। যেমন, তার দাদু-দিদা জানিয়েছিলেন, সে স্কুলের পোশাক পরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। অথচ উদ্ধারের সময় তার পরনে অন্য পোশাক ছিল।

সূত্রের খবর, স্থানীয় একটি বস্তির ছেলেরা বৃহস্পতিবার রাত দু’টো পর্যন্ত এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে। তখন তাকে দেখা যায়নি। তা হলে কি ভোরে কেউ তাকে সেখানে ফেলে গিয়েছে? সে বা়ড়ি না ফিরে কেন, কী ভাবে ওই গলিতে গেল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কিশোরীর জবানবন্দির উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। সে যদি নির্যাতনের কথা জানায় তা হলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement