প্রতীকী ছবি।
রবিবার ছুটি কাটিয়ে সোমবার কাজে আসছিলেন তাঁরা। কারখানার কাছাকাছি আসতেই খবরটা কানে এসেছিল। অফিসে এসে তাঁরা দেখলেন, ভিতরের সব কিছু পুড়ে গিয়েছে। কারখানার চারপাশ জলে থই থই। ফের কবে কাজ চালু হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না ওই কর্মীদের।
দমকল জানায়, রবিবার রাতে কাশীপুর রোডের ওই কারখানায় আগুন লাগে। সেখানে মূলত বাইরে থেকে আসা কাগজ ‘রোলিং’ করে পাঠানো হত। রোজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কাজ করেন জনা দশেক কর্মী। তাঁরা মজুরি পান দৈনিক ভিত্তিতে। রবিবার কারখানা বন্ধ থাকে। ওই দিনই এমন ঘটনা ঘটায় কর্মীদের উপার্জনই অনিশ্চিতের মুখে।
সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ভিড় করে রয়েছেন কর্মীরা। এক কর্মী বিশ্বনাথ চৌবে জানালেন, রবিবার গভীর রাতে কারখানার এক নিরাপত্তারক্ষী আগুনের শিখা দেখতে পান। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি গুদাম আছে। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা দমকলেরও। নিরাপত্তারক্ষীর থেকে খবর পেয়ে দমকলের দশটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। রাতভর লড়াই চালিয়ে ভোর ৪টে নাগাদ আগুন আয়ত্তে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। দমকলের এক অফিসার জানান, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। কাগজ এবং কাঠ-টিনের শেড থাকায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে।
অন্য দিকে, সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ তপসিয়ায় একটি প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। কেউ হতাহত হননি।