পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে বিতর্কে কাউন্সিলর

বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা ছিল। উত্তর রবীন্দ্রনগর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অয়ন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, সাড়ে ৯টার কিছু পরে স্কুলে ঢোকেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮ ০১:০১
Share:

স্কুলের ভিতরে মশা মারার তেল দিতে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দমদমের সিপিএম কাউন্সিলর মনীষা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। পরীক্ষা চলাকালীন শুধু স্কুল চত্বরে ঢোকা নয়। ওই পুর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র খোলার আগের মুহূর্তে প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢোকারও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা ছিল। উত্তর রবীন্দ্রনগর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অয়ন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, সাড়ে ৯টার কিছু পরে স্কুলে ঢোকেন স্থানীয় কাউন্সিলর। একাধিক বার বারণ করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়েন মনীষা। ব্যারাকপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক দীপঙ্কর রায় জানান, প্রথম দিন ৯টা ১৫ পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিভাবকদের থাকার অনুমতি আছে। পরের দিন থেকে তাঁরা তা-ও পারবেন না। সকাল ৯টার সময় স্কুলের গেটে পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দিয়ে তাঁদের চলে যেতে হবে। স্কুলের ভিতরে পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ছাড়া ঢোকার অনুমতি রয়েছে পর্যবেক্ষক, অতিরিক্ত পর্যবেক্ষক, সেন্টার সেক্রেটারি, অফিসার ইন চার্জের। এ ছাড়া সংসদ মনোনীত প্রতিনিধি এবং যাঁদের কাছে বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে, তাঁরাই কেবল পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারেন।

প্রধান শিক্ষকের দাবি, কাউন্সিলর স্কুলের গেটে ঢোকার সময়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার বাধা দেন। এর পর স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী এবং এক জন শিক্ষিকাও পুর প্রতিনিধিকে বাধা দেন। অয়নবাবুর কথায়, ‘‘প্রতিটি ক্ষেত্রে কাউন্সিলর জানান, উনি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মশা মারার তেল দিতে এসেছেন। আমার সঙ্গে কথা বলে চলে যাবেন।’’ স্কুলের সভাপতি সৌরভপ্রিয় দত্তকে পাশে বসিয়ে প্রধান শিক্ষক আরও জানান, সংসদের মূল প্যাকেট থেকে প্রশ্নপত্র বার করে ক্লাসগুলিতে তা বিতরণের জন্য সেগুলি গোছানোর কাজ চলছিল। সেই সময় পুর প্রতিনিধি দরজায় ক্রমাগত টোকা মারতে থাকেন। অয়নবাবু বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম, সংসদের কেউ এসেছেন। কিন্তু দরজা খুলতেই ঘরের ভিতরে ঢুকে উনি জিজ্ঞেস করেন, মশা মারার তেল, ব্লিচিং দেওয়া হয়েছে কি না!’’ সেই সময় ঘরে সংসদ মনোনীত প্রতিনিধি শম্পা বসু-সহ পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি অয়নবাবুর।

Advertisement

জেলা স্কুল পরিদর্শক বলেন, ‘‘বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া পুলিশ কেন কাউকে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দিল? প্রধান শিক্ষকের পুলিশকে সে কথা বলা উচিত ছিল। আমি হলে পুর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতাম।’’

মনীষাদেবী বলেন, ‘‘স্কুলের পিছনে সোনাই খাল, পুকুর রয়েছে। সকালে মশা মারার তেল দেওয়া হয়নি। সে জন্য মশা মারার ওধুধ দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে গিয়েছিলাম। দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গির প্রভাব কেমন তা তো সকলেই জানেন। বাচ্চাদের জন্য এটুকু করব না?’’ ওই সিপিএম কাউন্সিলরের দাবি, প্রধান শিক্ষকের ঘর খোলা ছিল। আর তাঁকে কেউ স্কুলে ঢুকতে বাধা দেননি। পরিষেবা দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement