প্রতীকী ছবি।
বই বিনিময় উৎসব!
নিজের সংগ্রহে থাকা যে সব বই ইতিমধ্যে পড়া হয়ে গিয়েছে, সেগুলো অন্যকে দিন। বদলে তাঁর সংগ্রহের বই নিন। বই পড়ার অভ্যাস যখন ধীরে ধীরে কমছে, তখন বিশ্ব বই দিবসে এমনই উৎসবের পরিকল্পনা করেছে ডিওয়াইএফআই। কাল, সোমবার যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিকেল থেকে চলবে এই উৎসব।
অন্যতম উদ্যোক্তা শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য শনিবার জানান, সাধারণের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস এবং আগ্রহ গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ। বই বিনিময়ের পাশাপাশি পছন্দের বই নিয়ে আলোচনাও হবে। তিনি জানান, উৎসবের খবর পেয়ে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আগ্রহীরা যোগাযোগ করেছেন। উৎসবে বই নিয়ে আসবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। বিনিময়ের পরে যদি আরও কিছু বই থেকে যায়, তা দিয়ে একটি সংগ্রহশালাও গড়ে তোলার ইচ্ছা রয়েছে তাঁদের।
কী ধরনের বই আসছে উৎসবে? উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, অনেকেই কমিক্স নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সেই কমিকস বিনিময়ের পরে কিছুটা থেকে গেলে সেগুলি দিয়ে একটি কমিক্স ক্লাব গড়ে তোলা যায় কি না, তাও ভেবে দেখা হবে— জানালেন শাক্যজিৎ। অনেকে তাঁদের সংগ্রহে থাকা ডিভিডি বিনিময়েও আগ্রহী। শাক্যজিৎ বলেন, ‘‘বিনিময় হবে সম্পূর্ণ ভাবে আর্থিক লেনদেন মুক্ত। বইয়ের বিনিময়ে পাওয়া যাবে বই।’’
এমন উৎসবের কথা শুনে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘‘চমৎকার উদ্যোগ। দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক এমন উৎসব!’’ তাঁর কথায়, এক জনের যা পড়ে ভাল লেগেছে, সে অন্যকে তা পড়াতে চাইছে— এ তো ভাল লাগার বিনিময়। হৃদয়ের বিনিময়। কবি শ্রীজাতও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, লন্ডনের টিউব রেলে এক দম্পতির প্রতি সপ্তাহে বই রেখে আসার কথা। যে বই ট্রেন-যাত্রীরা পড়তেন। শ্রীজাত বলেন, ‘‘এমন বই রয়েছে, যা হয়তো এখন ছাপাও হয় না। অন্যের সংগ্রহ থেকে সেই রকম বই যদি পড়ার সুযোগ হয়, সে তো দারুণ ব্যাপার!’’
শাক্যজিৎ জানালেন, এ বার প্রথম তাঁরা এমন কাজে উদ্যোগী হয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে এই কাজ আরও বড় করে করার ইচ্ছে আছে।