Kolkata Korcha

কলকাতার কড়চা: আনন্দযাত্রার অর্ধশতক

সত্তরের দশকের কলকাতায় তখন দাপটে চলছে ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০ ০০:০১
Share:

পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনেই যাত্রা শুরু। ষাটের দশকের শুরুতে কলকাতায় এসেছিলেন জেসুইট ধর্মযাজক গাস্তঁ রোবের্জ, ১৯৭০-এর ৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘চিত্রবাণী’। তাঁর ইচ্ছে ছিল এটি এমন এক ‘এক্সপেরিমেন্টাল সেন্টার’ হয়ে উঠুক, যেখানে ‘সিরিয়াস’ শিক্ষার্থীরা মিডিয়া নিয়ে সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনার বিনিময় করবে, আর তাদের সার্বিক সহায়তা করবে এই প্রতিষ্ঠান। বাস্তব হয়েছিল তা। সামাজিক সংযোগের নানা পরিসরে এক নতুন ও খোলা হাওয়া বইয়ে দিয়েছিল চিত্রবাণী, আজও যার মূল কথাটি— ‘আ হিউম্যান টাচ ইন কমিউনিকেশন’। চলচ্চিত্র ও ফিল্ম-সংস্কৃতি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা তো বটেই, পাশাপাশি রেডিয়ো, ফোটোগ্রাফি, শিক্ষামূলক টেলিভিশন নিয়ে কাজ— জনসংযোগ ও গণমাধ্যমের দিগন্ত খুলে গিয়েছিল কলকাতায়। এক দিকে ‘রেডিয়ো ভেরিটাস এশিয়া’-য় বাংলায় অনুষ্ঠান, অন্য দিকে ফোটো প্রসেসিংয়ের বিভাগ। এখানকার সাউন্ড রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় কাজ করেছেন মৃণাল সেন থেকে এখনকার চিত্রপরিচালক ও সুরকাররা। এ দিকে মারি সিটন, সত্যজিৎ রায়, মৃণালবাবুর মতো চলচ্চিত্রবেত্তারা ছবি নিয়ে আলোচনা করছেন, ও দিকে সমাজ-সংযোগের পছন্দসই ক্ষেত্র বেছে পড়াশোনা করে বা গবেষণাপত্র জমা দিয়ে ডিপ্লোমা পাচ্ছেন পড়ুয়ারা, সম্ভব করেছিল চিত্রবাণী।

Advertisement

সত্তরের দশকের কলকাতায় তখন দাপটে চলছে ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলন। ‘‘তার পুরোভাগে যে সত্যজিৎ রায়, তিনিই কিন্তু চিত্রবাণীরও মেন্টর,’’ বলছেন সোমেশ্বর ভৌমিক। তবে ফিল্ম সোসাইটির ভাল ছবি দেখিয়ে দর্শকরুচি তৈরির সদিচ্ছা থাকলেও তেমন লোকবল বা অর্থবল ছিল না, ছবি দেখানোটাও সহজ ছিল না। ‘‘সেখানেই ফিল্ম-সংস্কৃতির পীঠস্থান হয়ে উঠল চিত্রবাণী... নিয়মিত ছবি দেখানো, সিনেমার নতুন তথ্য ও তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা, ফিল্মের অত্যাধুনিক বইপত্রে লাইব্রেরি ভরিয়ে তোলা...” শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বরে স্মৃতিমেদুরতা। তখন আমেরিকান সেন্টার বা ব্রিটিশ কাউন্সিল ছাড়া কতটুকুই বা আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির আবহাওয়ায় জারিত হতেন কলকাতাবাসী, চিত্রবাণী হাতেকলমে সে সুযোগ এনে দিল। সমসাময়িক কলকাতার তারুণ্যে প্রবল সাংস্কৃতিক চাহিদা ছিলই, তাদের চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তির লালন পোষণ ও সংবর্ধনে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বিরাট। সত্তরের দশকের টালমাটাল রাজনীতি-নিমগ্ন কেউ দিনের শেষে চিত্রবাণীতে আসছেন, লাইব্রেরিতে পড়ছেন, এমন ছবিও ছিল সহজ স্বাভাবিক। রাজনৈতিক মতান্তর সে তো অন্য জিনিস, চিত্রবাণীর জলহাওয়ায় মনান্তর ছিল না।

আশির দশকের শেষে কলকাতায় ফিল্ম স্টাডিজ়কে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা বিষয়মর্যাদা দিয়ে পঠনপাঠনের দাবি ওঠে। তত দিনে চিত্রবাণীতে ফিল্ম স্টাডিজ়ের কোর্স— সিনেম্যাটোগ্রাফি, এডিটিং, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের পাঠ— রমরমিয়ে চলছে। ফিল্ম, টিভি, রেডিয়ো-সহ সমাজ-সংযোগের সমস্ত ক্ষেত্রগুলি যে ব্যাপক অ্যাকাডেমিক চর্চার দাবি রাখে, শুধু কলকাতায় নয়, সারা দেশেই সেই সচেতনতার উৎস এই ইনস্টিটিউট, বললে অত্যুক্তি হবে না মোটেই। দীপক মজুমদার, উৎপলকুমার বসু, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরেন দাসশর্মার মতো চলচ্চিত্রবেত্তারা যুক্ত ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। চিত্রবাণীর হাত ধরেই সেন্ট জেভিয়ার্স-এর ইএমআরসি-র (এডুকেশনাল মাল্টিমিডিয়া রিসার্চ সেন্টার) প্রতিষ্ঠা। “কলকাতার ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক চর্চায় পৌঁছে দেওয়ার কাজে সেতুবন্ধ ছিল চিত্রবাণী,” বলছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। “সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিবর্তন থেকে সিনেমার ভাষার পরিবর্তন নিয়ে নিরন্তর আমাদের প্রাণিত করতেন ফাদার রোবের্জ,” গৌতম ঘোষের কথায় ভিড় করে আসে স্মৃতি। আজ মিডিয়া বা কমিউনিকেশন স্টাডিজ় নিয়ে এত চর্চা, এত প্রতিষ্ঠান, এর শেকড়ে যে চিত্রবাণী আর তার সদ্যপ্রয়াত প্রাণপুরুষের সপ্রাণ উপস্থিতি, সাক্ষী গত পাঁচ দশকের কলকাতা। ছবিতে এক অনুষ্ঠানে মৃণাল সেন ও ফাদার গাস্তঁ রোবের্জ। ছবি সৌজন্য: চিত্রবাণী আর্কাইভ

Advertisement

স্মরণে, বরণে

জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখের পূর্ণ সমর্থনে ১৯৩৮-এ জাতীয় কংগ্রেসের পাঠানো ‘ভারতীয় মেডিক্যাল মিশন’-এর সদস্য হিসেবে চিন গিয়েছিলেন দ্বারকানাথ শান্তারাম কোটনিস। সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী যুদ্ধে এই মরাঠি চিকিৎসক সেবা দিয়ে, অস্ত্রোপচার করে বহু সৈন্য ও সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচান। আজ সীমান্ত-বিরোধিতার আবহেও চিনে সমাদৃত তিনি, তাঁর স্মরণে সেখানে রয়েছে স্মৃতিসৌধ, প্রদর্শশালা, ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মূর্তি। স্বদেশে প্রায়-বিস্মৃত এই মানুষটিকে মনে রেখে প্রতি বছর অনুষ্ঠান করে থাকে দ্বারকানাথ কোটনিস স্মৃতি কমিটি। ১০ অক্টোবর তাঁর ১১০তম জন্মদিনে সন্ধ্যা ৭টায় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখা তাদের ফেসবুক পেজে স্মরণ-অনুষ্ঠান করবে।

গানের মালা

সৃষ্টির স্বর্গ ছুঁয়েও তিনি মাটির কাছাকাছি। পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার সঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর ইজ়েডসিসি ও প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশনের ‘সুর ও সাজ’ অনলাইন কথালাপে ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী। জানা গেল ইলাহাবাদে পণ্ডিতজির শৈশবকথা, পালোয়ানি আখড়া ছেড়ে সুরবিশ্বে আসার গল্প। পরামর্শ দিলেন মন ও আবহ তৈরির রেওয়াজের। অন্য দিকে, ২ অক্টোবর ইউটিউবে এল গাঁধীর প্রিয় রবীন্দ্রগান ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ’-এর নতুন মিউজ়িক ভিডিয়ো— ‘একলা চলো রে’। পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীতায়োজনে তৈরি এই গানে চাঁদের হাট— আছেন পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভাট, অনুপ জলোটা, সুরেশ ওয়াদকর, শান, সাহেব চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা।

শিশুদের জন্য

গোটা বাড়ি জুড়ে নানা দেশের পুতুলের রাজত্ব। রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনি— তারও কথক ও অভিনেতা মাটির তৈরি সুদৃশ্য পুতুল। ১৯৭২-এ যাত্রা শুরু, কয়েক দশক ধরে ভারত ও বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতা-সংস্কৃতির সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করানোর কাজ করে চলেছে নেহরু চিলড্রেন’স মিউজ়িয়াম। আছে শিশুদের শাস্ত্রীয় নৃত্য, অঙ্কন, নাটক ও কবিতা শেখার নিয়মিত ক্লাসের ব্যবস্থাও। শিশুদের সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের ভাবনা থেকে ১৯৪৫-এ ‘ন্যাশনাল কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন যুগল শ্রীমল (১৯২০-১৯৯৬)। মিউজ়িয়ামটি এই প্রকল্পেরই অংশ, তিনিই এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক। সতত শিশুদের আনন্দপাঠের কথা ভাবা মানুষটির জন্মদিন ৮ অক্টোবর, এ বছর তাঁর জন্মশতবর্ষ। করোনার জেরে মিউজ়িয়াম ও ক্লাস বন্ধ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় মিউজ়িয়াম প্রেক্ষাগৃহে একটি স্মরণ-অনুষ্ঠান হবে।

ভারতপথিক

২৭ সেপ্টেম্বর ছিল রাজা রামমোহন রায়ের ১৮৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। বঙ্গীয় নবজাগরণের অগ্রপথিকের স্মরণে কলকাতার ব্রাহ্ম সমাজ ও ব্রিস্টলে রামমোহন-সমাধিক্ষেত্রের তত্ত্বাবধায়ক আরনস ভেল ট্রাস্ট-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সে দিন মিলে গেল কলকাতা ও ব্রিস্টল। সমাধিক্ষেত্রের জনসংযোগ আধিকারিক জেনিন ম্যারিয়ট ভার্চুয়াল মাধ্যমে রামমোহনের সমাধিক্ষেত্রের ছবি দেখালেন। আজকের দিনে রামমোহন-রচনার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বললেন সেন্টার ফর স্টাডিজ় ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা-র ডিরেক্টর রোসিঙ্কা চৌধুরী, বাথ স্পা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক সুমন ঘোষ ক্রীতদাস প্রথা বিলোপে রামমোহনের অবদান নিয়ে আলোচনার সঙ্গে তথ্যচিত্রে তুলে ধরলেন রামমোহনের শব-ব্যবচ্ছেদকারী জন বিশপ এস্টলিন-কে। তিনি আমেরিকায় রামমোহনের চুলের কয়েকটি গোছা পাঠিয়েছিলেন, যা নিলাম করে ক্রীতদাস প্রথা বিলোপ আন্দোলনে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর শিবনাথ শাস্ত্রীর ১০১তম প্রয়াণ-বার্ষিকী উপলক্ষে ইস্ট ক্যালকাটা গার্লস কলেজের বাংলা বিভাগ আয়োজন করেছিল ওয়েবিনার। আলোচনা হয় ঔপন্যাসিক-কবি-প্রাবন্ধিক শিবনাথের সাহিত্যপ্রতিভা, স্বদেশভাবনা, অন্য চিন্তকদের সঙ্গে সম্পর্ক, নবজাগরণে তাঁর অবদানের মতো বিষয় নিয়ে।

ইডেনের ইতিকথা

ভারতীয় ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর কলকাতা। ইংল্যান্ডের বাইরে প্রথম ক্রিকেট ক্লাব এই শহরেই, ১৭৯২ সালে ‘ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব’। ১৮০৪-এ ক্রিকেটের নিয়ম ও ব্যাকরণ মেনে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ, কোম্পানি রেসিডেন্টের উচ্চপদাধিকারী সিভিল সার্ভেন্টদের নিয়ে তৈরি ‘ইটনিয়ান্স’ বনাম বাকি ব্রিটিশ সিভিল সার্ভেন্টদের মধ্যে। ১৮৪১-এ ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবের মাঠের চার পাশে বেড়া দেওয়া নিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাদের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছিল, তারও পরে নানা ঘটনার ঘনঘটা পেরিয়ে ক্লাবের ক্রিকেট গ্রাউন্ড স্থানান্তরিত হয় আজ যেখানে ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়াম, সেখানে। সারদারঞ্জন রায়চৌধুরী, বেঙ্গল জিমখানা, বহু পৃষ্ঠপোষক ও প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে এগিয়েছে বাংলার ক্রিকেট। তারই এক তুঙ্গমুহূর্ত ১৯২৮ সালে ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবের কার্যকরী কমিটির ‘ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল’-এ (সিএবি) রূপান্তর। সুদীর্ঘ ইতিহাসের উত্তরসূরি কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়াম, কলকাতাবাসীর গর্ব। সেই ইতিহাস ও গর্বকেই ইডেনের ইতিকথা তথ্যচিত্রে ধরেছেন সুমিত ঘোষ। পেশায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লেখ্যাগারের আধিকারিক সুমিতকে প্রভূত সাহায্য করেছেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সিএবি কর্তৃপক্ষ, কারিগরি সহায়তায় ‘ধ্রুবক প্রোডাকশন’-এর এক দল উৎসাহী তরুণ। ইউটিউবে দেখা যাবে ইডেনের ইতিকথা। ছবিতে ১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইডেনের গ্যালারি।

আসবে কত ক্ষণ

দুর্গাপুজোর অপেক্ষা প্রতি বছরই থাকে। কিন্তু এ বারে অতিমারিধ্বস্ত মন উৎসবের প্রলেপের প্রতীক্ষায়। শিল্পী সনাতন দিন্দা তাই জানিয়েছেন, যিনি তাঁকে অনুরোধ করবেন, তাঁর জন্য বিনা পারিশ্রমিকে প্রতিমা গড়ে দেবেন তিনি। ‘ফোটো প্ল্যানেট’ ফেসবুক গ্রুপে ‘দিল সে’ আলোচনা-সিরিজ়ে সম্প্রতি আলোকচিত্রী অতনু পালের সঙ্গে এক সন্ধেয় কথা বললেন সনাতন। শোনা গেল প্রতিমা-শিল্পের নানা দিক ও আঙ্গিক, শিল্পীর নিজস্ব শিল্পভাবনা সম্পর্কেও।

চলেছি যে পথে

ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি দৃষ্টান্ত আঁকতে হবে। ক্লাস সেভেনের মেয়েটি মন দিয়ে আঁকল, তার পর ভয়ে ভয়ে দিদিমণিকে প্রশ্ন, ‘‘এই ছবি চলবে? বাতিল হয়ে যাবে না তো?’’ পুরনো এক মসজিদের ছবি সেটি। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে একটি ওয়েবিনারে ঘটনাটি শোনা গেল। রাজনীতি ও শিক্ষানীতির জেরে এই হল ভবিষ্যৎ নাগরিকের মনের দশা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement