বিজন সেতু।—ফাইল চিত্র।
করুণাময়ী সেতুর পরে চলতি সপ্তাহে শুরু হচ্ছে বিজন সেতু ও চেতলা আরসিসি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছে ১৪ মে থেকে ১৮ মে। ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে ১৮ মে ভোর ৫টা পর্যন্ত ওই কাজ চলবে বলে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশকে কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে।
কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য জানিয়েছেন, বিজন সেতুর ক্ষেত্রে শুধু স্ট্যাটিক ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা হলেও চেতলা আরসিসি সেতুর ক্ষেত্রে স্ট্যাটিক, ডায়নামিক— দু’রকম ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষাই হবে। পাশাপাশি, সেতুর থামও পরীক্ষা হবে। করুণাময়ী সেতুর পরে চেতলা সেতুর কাজ হওয়ার কথা থাকলেও বিজন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। টানা কাজ করতে গেলে যত জন শ্রমিকের প্রয়োজন, তত জনকে নিয়ে লকডাউনের বিধি মেনে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে ঠিক হয়, কম শ্রমিক নিয়েই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করা হবে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, বিজন সেতুর ক্ষেত্রে লকডাউনে কাজ করার একটি বড় সুবিধা হল, এখন যানবাহন চলাচল কম রয়েছে। তা ছাড়া, সেতুর নীচের বাজার এবং হকারদের স্টলগুলিও বন্ধ রয়েছে। সেখানকার লোকজনকে আলাদা করে সরানোর কোনও প্রয়োজন হবে না।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বিজন সেতু বন্ধ থাকাকালীন গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী কানেক্টরের দিকে কোনও গাড়িকে যেতে দেওয়া হবে না। ছোট গাড়িগুলিকে গড়িয়াহাট মোড় থেকে হয় বন্ডেল গেট উড়ালপুল অথবা যাদবপুর থানা থেকে জীবনানন্দ সেতু হয়ে যেতে হবে। পার্ক সার্কাস মোড় দিয়েও যেতে পারে গাড়ি। আবার ই এম বাইপাসের দিক থেকে গড়িয়াহাটমুখী গাড়িগুলিকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ কানেক্টরের বদলে পার্ক সার্কাস বা বন্ডেল গেট উড়ালপুল হয়ে আসতে হবে।
একই ভাবে চেতলা আরসিসি সেতু বন্ধ থাকার সময়ে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ থেকে পশ্চিম দিকে যেতে হলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড হয়ে দেশপ্রাণ শাসমল রোড, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ধরতে হবে। এ ছাড়া, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড হয়ে হাজরা মোড়, হাজরা রোড ধরে জাজেস কোর্ট রোড হয়ে আলিপুর রোড দিয়েও যাওয়া যাবে। তেমনই, উল্টো দিকে যেতে হলে আলিপুর রোড, চেতলা সেন্ট্রাল রোডের মোড় হয়ে দুর্গাপুর ব্রিজে ওঠা যাবে। আলিপুর রোড-রাজা সন্তোষ রোড ধরে বর্ধমান রোডেও যাওয়া যাবে।