প্রতীকী ছবি।
দূষণ রোধে ভাগাড়ে জমে থাকা, অর্থাৎ স্তূপীকৃত বর্জ্যের (লিগ্যাসি ওয়েস্ট) প্রক্রিয়াকরণ নিশ্চিত করতে বছর দুয়েক আগে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এর পরেই সরকারি তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে। যার ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভাকে বাদ দিয়ে রাজ্যের অন্য পুর এলাকায় স্তূপীকৃত বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। বৃহস্পতিবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, ‘‘কাজের পদ্ধতি ও গতি নিয়ে পরিবেশ আদালতও সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’’
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাগাড়গুলিতে কয়েক দশকের জমা বর্জ্যের দূষণ মানুষের স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট এলাকার বাস্তুতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। বর্জ্য-নিঃসৃত তরল ভূগর্ভস্থ জলকেও দূষিত করে তোলে। তা ছাড়া, জঞ্জাল থেকে বেরোনো মিথেন গ্যাস বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে কার্বন ডাইঅক্সাইডের থেকেও ২১ গুণ বেশি দায়ী।
রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, ওই প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে জৈব সার, তরল জ্বালানি (রিফিউজ় ডিরাইভড ফুয়েল বা আরডিএফ) ও জড় পদার্থ উৎপন্ন হয়। রাজ্যে বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘কৃষিতে জৈব সার, সিমেন্ট প্লান্ট-সহ একাধিক ক্ষেত্রে তরল জ্বালানি এবং জমি ভরাটের কাজে জড় পদার্থ লাগে।’’ পানিহাটি, মহেশতলা, ব্যারাকপুর-সহ ১৭টি পুর এলাকার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রমাকান্ত বর্মণ বলছেন, ‘‘ভাগাড়ে মিথেন গ্যাসের কারণে লাগা আগুনের ফলে বর্ধিত দূষণ ফুসফুসের ক্ষতি করে। তাই বায়ো মাইনিং ও বায়ো রেমিডিয়েশন পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত জমি পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।’’