মেরামতি: বাঘা যতীন উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশে চলছে সারাইয়ের কাজ। রবিবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
উড়ালপুলের একাংশের চাঙড় ভেঙে পড়েছিল শনিবার। তার পরের দিনই কেএমডিএ-র তরফে পুলিশকে প্রস্তাব দেওয়া হল, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সেই বাঘা যতীন উড়ালপুলের একাংশে তিন দিন বন্ধ রাখা হোক যান চলাচল।
লালবাজার জানিয়েছে, রবিবার ওই উড়ালপুল পরিদর্শনের পরে কেএমডিএ-র তরফে আগামী ১৩ অগস্ট রাত থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত সেটির দক্ষিণ অংশে অর্থাৎ গড়িয়ার দিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছে। যদিও সেই কাজের জন্য পাঁচ দিনও লাগতে পারে বলে কেএমডিএ সূত্রের দাবি। আজ, সোমবার ওই উড়ালপুলের সব কিছু ফের পরীক্ষা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার এক আধিকারিক।
অজয়নগর এবং পাটুলির সংযোগকারী বাঘা যতীন রেলসেতুর একাংশ তিন দিন বন্ধ থাকলে যাতে যান চলাচল তেমন ভাবে ব্যাহত না হয়, সে জন্য বিকল্প ভাবনা ভেবে রেখেছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ অগস্ট থেকে তিন দিন মেরামতির জন্য বন্ধ থাকার কথা রয়েছে জীবনানন্দ সেতুর। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, বাঘা যতীন সেতুর অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনে জীবনানন্দ সেতুর মেরামতি পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, বাঘা যতীন উড়ালপুলের উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে যাতায়াতের জন্য দু’টি পৃথক সেতু রয়েছে। দক্ষিণ দিকের অংশ বন্ধ থাকার সময়ে উত্তরের সেতুটি দিয়ে উভয় দিকে গাড়ি চলাচল করানো হবে। এ ছাড়াও উড়ালপুলের নীচের রাস্তা দিয়ে ছোট গাড়ি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছিল বাঘা যতীন উড়ালপুলের পূর্ব দিকের অংশের। এরই মধ্যে শনিবার দুপুরে গড়িয়ার দিকে যাতায়াতকারী উড়ালপুলের একটি চাঙড় খসে পড়ে। তার পরেই রবিবার কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা পরীক্ষা করে জানান, ওই উড়ালপুলের একটি স্ল্যাব পাল্টাতে হবে। তার জন্য সেটি বন্ধ রাখা জরুরি।
এ দিন ঘটনাস্থলে দেখা যায়, চাঙড় ভেঙে পড়ার অংশটি গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা। তার পাশ দিয়ে ধীর গতিতে চলছে গড়িয়ামুখী গাড়ি। পুলিশের পক্ষ থেকে উড়ালপুলের নীচে থাকা হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নীচের রাস্তার দু’দিকের দোকানপাট সরিয়ে ওই রাস্তা ঠিক করা হচ্ছে।