ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় মর্যাদাপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সরোবরের জলে যাতে প্লাস্টিক বা প্লাস্টিকজাত বর্জ্য না পড়ে সে ব্যাপারে পরিবেশ আদালত আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তা মেনে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ প্রবেশপথের বোর্ডে সেই নির্দেশিকাও দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু তা নামেই। অভিযোগ, দেদার প্লাস্টিক পড়ছে জলাশয়ে। এ বার তা আটকাতে রবীন্দ্র সরোবরে জলাশয়ের ধারে বসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।
নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, সরোবরের ধারে কেউ বসতে পারবেন না। রবীন্দ্র সরোবর চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় যে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই বসতে হবে। যারা ভিতরে ঢুকবেন, তাঁরা সঙ্গে প্লাস্টিক আনছেন কি না, তা তল্লাশি করে দেখবেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকি কোনও হকারও প্লাস্টিকের জিনিস নিয়ে সরোবরের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, জলাশয়ের ধারে যাঁরা বসেন, তাঁরাই বেশির ভাগ সময়ে খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল-সহ বিভিন্ন জিনিস জলে ছুড়ে ফেলেন। একটু দূরের বেঞ্চে বসলে সেই প্রবণতা তুলনায় কম থাকবে। এ ছাড়া, সরোবরের ধারের রাস্তা হাঁটার জন্য। সেখানে বসলে প্রাতর্ভ্রমণকীরদের হাঁটতে অসুবিধা হয়। জলাশয়ের ধারে বসলে সামান্য অসাবধানতায় জলে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে বলে তিনি জানান।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, কোনও হকার বা সরোবরে আসা ব্যক্তি যাতে প্লাস্টিকজাত জিনিস নিয়ে ঢুকতে না পারেন, তা নিরাপত্তারক্ষীদের তল্লাশি করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাফিলতি নজরে এলে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।