— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ই এম বাইপাসে পথচারীদের নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত করতে এবং যানবাহনের গতিবেগ বাড়াতে দু’টি ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণ করতে চলেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম এবং সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এসআরএফটিআই)-এর সামনে ওই দু’টি ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণ করা হবে। মাসখানেকের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে কেএমডিএ সূত্রের খবর। চলতি বছরের দুর্গাপুজোর সময়ে চালু হয়ে যাবে পথ দু’টি।
গত শতকে ই এম বাইপাস যখন তৈরি হয়েছিল, তখন তার দু’পাশে ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি। দু’পাশের জলাভূমিগুলির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে বাইপাস জুড়ে বহু কালভার্ট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাইপাসের দু’ধারে জলাভূমি বুজিয়ে আবাসন এবং বাড়ি হওয়ার ফলে কালভার্টগুলির আর কোনও ভূমিকা নেই। সেগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কালভার্টগুলি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণে প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছিল। কালভার্টের নীচে কী অবস্থা হয়ে রয়েছে, তা দেখা যাচ্ছিল না। ফলে সেগুলি আচমকা বসে গিয়ে বাইপাসে ধস নামাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। তাই ওই কালভার্টগুলিকে ভূগর্ভস্থ পথে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর পঞ্চান্নগ্রামে তৃণমূল ভবনের কাছে একটি ভূগর্ভস্থ পথ তৈরি করা হবে। কেএমডিএ-র আধিকারিকদের যুক্তি, তৃণমূল ভবনের কাছে একটি সিগন্যাল রয়েছে, সেটি দিয়ে শুধু পথচারীরা যাতায়াত করেন। তার পরেই আবার পঞ্চান্নগ্রামে ক্রসিং রয়েছে। ভূগর্ভস্থ পথ তৈরি হলে তৃণমূল ভবন সংলগ্ন সিগন্যালটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। পারাপারের জন্য ফাঁকা জায়গাটিও রেলিং দিয়ে আটকে দেবে কেএমডিএ। এই দফায় দ্বিতীয় ভূগর্ভস্থ পথটি হবে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এসআরএফটিআই)-এর মূল গেটের সামনে।
ইতিমধ্যেই ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে বলে কেএমডিএ সূত্রের খবর। মাসখানেকের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। অক্টোবরেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এক-একটি ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণে আনুমানিক আড়াই কোটি টাকা খরচ হবে। এই ভূগর্ভস্থ পথগুলিতে থাকবে আলো এবং জলনিকাশির ব্যবস্থা। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে কেএমডিএ। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই ভূগর্ভস্থ পথগুলি। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ভূগর্ভস্থ পথগুলি তৈরি হলে কয়েকটি সিগন্যাল বন্ধ করে দেওয়া যাবে। বাইপাসে কয়েকটি মোড়ে রেলিং দিয়ে আটকে দেওয়া যাবে পথচারীদের পারাপার এবং অবাঞ্ছিত দু’চাকার যান চলাচল। ফলে বাইপাসে বাড়বে যানবাহনের গতি। কমবে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।