প্লাস্টিকের দূষণ রুখতে পিকনিকে নতুন নিয়ম

এ বার থেকে কেএমডিএ-র কোনও পার্কে পিকনিক করতে হলে আগে লিখিত ভাবে দিতে হবে যে, সেখানে কোনও রকম প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হবে না। তবেই মিলবে কেএমডিএ-র অনুমতি।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্লাস্টিকের দূষণ এড়াতে এ বার শীতের পিকনিকেও বিধিনিষেধ আরোপ করছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। শহর বা শহরতলির একাধিক জায়গায় পিকনিকের জন্য অনুমতি দেওয়া হলেও পরবর্তী কালে এর কারণে এলাকায় যে দূষণ ছড়ায়, তা আটকাতেই এই উদ্যোগ।

Advertisement

এ বার থেকে কেএমডিএ-র কোনও পার্কে পিকনিক করতে হলে আগে লিখিত ভাবে দিতে হবে যে, সেখানে কোনও রকম প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হবে না। তবেই মিলবে কেএমডিএ-র অনুমতি। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রকমের প্লাস্টিক বা থার্মোকলের তৈরি জিনিস পিকনিকে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি সেখানকার জলাশয়ের জলও চড়ুইভাতি করতে আসা লোকজন ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অনেক আগে থেকেই চড়ুইভাতি করা নিষিদ্ধ। তবে এখনও সুভাষ সরোবর, পাটুলির বেণুবনছায়া এবং তার পাশেই সত্যজিৎ রায় পার্কে পিকনিক করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার পিকনিকের অনুমতি দেওয়ার সময়েই বলে দেওয়া হচ্ছে, পিকনিক করতে আসা কোনও গাড়ি সুভাষ সরোবর চত্বরে রাখা যাবে না। কারণ সুভাষ সরোবর চত্বরে গাড়ি ঢুকলে তার ধোঁয়ায় এলাকা দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। চড়ুইভাতি করতে আসা লোকজনের সরোবরের জলে নেমে স্নান করা বা বাসন ধোয়ার ক্ষেত্রেও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেএমডিএ। সরোবর চত্বরে

Advertisement

প্লাস্টিকের বোতল বা থার্মোকলের থালা ব্যবহারও করা যাবে না। পিকনিকের শেষে যত্রতত্র ফেলা আবর্জনাও যথাস্থানে সরিয়ে দিয়ে আসতে হবে পিকনিক করতে আসা লোকজনকেই।

কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সুভাষ সরোবরের জলাশয়ে মরা মাছ ভেসে উঠেছিল। তার পরেই দূষণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুভাষ সরোবরের জলাশয় পরিষ্কার রাখতে এ ব্যাপারে রাজ্য পরিবেশ দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে কেএমডিএ-র।

সুভাষ সরোবর ছাড়া পাটুলির বেণুবনছায়া এবং সত্যজিৎ রায় পার্কে গাড়ি রাখার জায়গা ছাড়াও খাওয়াদাওয়া করার মতো আলাদা জায়গা রয়েছে। কিন্তু সেখানেও জলাশয় বাঁচাতে খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলা এবং জলাশয়ের জল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ।

আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এ বার থেকে প্রতিটি পিকনিক স্পটে আলাদা করে জৈব এবং অজৈব বর্জ্যের জন্য পাত্র রাখা থাকবে। চড়ুইভাতির পরে সেখানেই সমস্ত উচ্ছিষ্ট জড়ো করতে হবে। পরে সেগুলি অপসারণ করা হবে। ওই সমস্ত জায়গায় পিকনিকের সময়ে নজরদারি বাড়াতে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করা হবে বলে কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement