মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বার ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই)-র প্রয়োগ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার কলকাতা পুরসভার টক টু মেয়র অনুষ্ঠান শেষে ডেঙ্গি রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা এ বার ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র সাহায্য নেবে। তবে সব কিছুই এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে জোরালো করতে নতুন এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মেয়র বলেছেন, ‘‘কোভিড সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যে ভাবে ভ্যাকসিন আনা হয়েছিল, সে ভাবেই ডেঙ্গির ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য গবেষণা চলছে। ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলে তা রোগ প্রতিরোধে অনেকটা সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে ডেঙ্গি রোগ নির্ধারণের কাজ করব।’’
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, নতুন এই পরিষেবা যে চালু হবে সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুমতি দিয়েছে। ডেঙ্গি রোগ নির্ধারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেওয়া হবে। এই পরিষেবা ব্যবহার করার পরেই বোঝা যাবে, কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আর কোন কোন বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা সম্ভব। আপাতত পুরসভার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কী ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সাহায্য করা যায়, সেই বিষয়ে কাজ চলছে। আগামী দিনে যখন সারা শহর জুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কলকাতা পুরসভা কাজ করবে, তখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব হবে। কারণ, প্রযুক্তি প্রয়োগের আগে কোনও মন্তব্য করতে চায় না কলকাতা পুরসভা। গত কয়েক বছরে বার বার শহর কলকাতায় থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি। সেই তুলনায় এ বছর তার প্রকোপ অনেকটাই কম। তা সত্ত্বেও ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে কোনও ঢিলেমিতে নারাজ পুর আধিকারিকেরা।
কোন সংস্থার নির্মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়টি এখনই খোলসা করতে নারাজ পুরসভা। কারণ, প্রযুক্তিগত দিকগুলি প্রসঙ্গে আগে পুর আধিকারিকেরা অবগত হতে চাইছেন। তাই মনে করা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি যাচাই করার পরেই তা কার্যকরী ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘বহু ক্ষেত্রে পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে মানুষের সীমাবদ্ধতা থাকে। কিন্তু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সেই সীমা থাকে না। তাই এই প্রয়োগ সফল হবে বলেই পুরসভা মনে করছে। কিন্তু সাফল্য না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে বিশদ কিছু বলা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’