—প্রতীকী ছবি।
লাফিয়ে বাড়ছে শহর কলকাতার দূষণ। তা নিয়ন্ত্রণে করতে এ বার কলকাতায় বাড়তি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণকারী গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কেন কলকাতায় দূষণ বাড়ছে? এ বিষয়ে খোঁজ করতে নেমে কলকাতা পুরসভা জানতে পেরেছে, দিনভর বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড মিশছে বাতাসে। যার প্রধান দুই কারণ শহরে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং প্রতিদিন গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি।
কলকাতায় গাছ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে আমফান ঘুর্ণিঝড়ের জেরে কলকাতায় বিপুল সংখ্যক গাছ উপড়ে গিয়েছিল। শহরের পরিবেশের উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে, বৃদ্ধি পায় দূষণ। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে বিশেষ কিছু প্রজাতির গাছ রোপণ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। সেই গাছগুলি অন্যান্য গাছের তুলনায় বেশি পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করবে। পাশাপাশি, বেশি মাত্রায় অক্সিজেনও বাতাসে ছড়াবে। এই বিষয়ে পুরসভার উদ্যান বিভাগের উদ্ভিদবিদ নির্দিষ্ট কিছু গাছের প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন।
গাছগুলি কলকাতার একাধিক রাস্তার ধারে বা পুরসভার অধীনে থাকা উদ্যানে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। নিম, সেগুন, ইউক্যালিপটাস, সিলভার ওক, বাঁদর লাঠি, রবার এবং চন্দনের মতো গাছ বেশি সংখ্যায় কলকাতা শহরে লাগানো হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, এ বার থেকে কলকাতা পুরসভার এমন গাছ লাগানো হবে যার শিকড়ের সঙ্গে মাটির যোগাযোগ গভীর। তার ফলে গাছ উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা কমবে। তাই অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়ার মতো গাছ আর রোপণ করতে চাইছে না পুরসভা।
বিকল্প হিসাবে বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণকারী গাছ রোপণ করছে পুরসভা। গাছগুলি বেশি পরিমাণ অক্সিজেন বাতাসে ছাড়ায় শহরে দূষণের মাত্রা কমানো যাবে বলে আশা তাদের। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মেয়র এমন গাছ লাগানোর কথা বলেছেন, যা ঝড়েও উপড়ে যাবে না। এ ছাড়া শহরের দূষণ কমাতে আমরা এমন গাছ লাগাতে চেয়েছিলাম, যা বাতাসকে তাজা রাখতে সাহায্য করবে। আলোচনার ভিত্তিতে সেই সব গাছ বেছে নিয়ে তা রোপণের কাজ শুরু করে দিয়েছি।’’