বরাদ্দ ঠিক মতো ব্যয় করতে তৎপর পুর প্রশাসন

বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের জন্য গত আর্থিক বছরে (২০১৭-’১৮) রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ২৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল  কলকাতা পুরসভাকে। কিন্তু সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০০:২১
Share:

বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের জন্য গত আর্থিক বছরে (২০১৭-’১৮) রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ২৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কলকাতা পুরসভাকে। কিন্তু সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত গিয়েছে। তার মধ্যে ছিল রাজ্যের গ্রিন সিটি প্রকল্পের টাকাও। চলতি আর্থিক বছরে (২০১৮-’১৯) সেই টাকা যাতে আবার পাওয়া যায়, তার জন্য সবিস্তার প্রকল্প-রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির প্রস্তুতি নিল পুর প্রশাসন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর, আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগেই যাতে ওই টাকা খরচ করা হয়, তা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই বছরের মাঝখানে প্রশাসনিক বৈঠক হল পুরসভায়।

Advertisement

২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে পুরসভার ১০টি দফতরকে কী কী কাজ করতে হবে, মঙ্গলবারের বৈঠকে তা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। হাজির ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ সব মেয়র পারিষদ, পুর কমিশনার এবং বিভিন্ন দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি)-রা। কেন সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি, তা নিয়ে সমালোচনাও হয় বৈঠকে। কারও কারও অবশ্য বক্তব্য ছিল, বছরের শেষ দিকে টাকার বরাদ্দ আসায় টেন্ডার প্রক্রিয়ার কারণে দেরি হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেরত যাওয়া টাকার তালিকায় রয়েছে জল সরবরাহ দফতরের ৬৯ কোটি, নিকাশি দফতরের ৬৩ কোটি, সিভিলের ৩৫ কোটি, আলো দফতরের ৪৩ কোটি এবং পার্ক এবং উদ্যান দফতরের ২৬ কোটি টাকা।

বৈঠকের পরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারের নিয়ম হচ্ছে, যে বছরে টাকা বরাদ্দ হবে, সেই বছরে কাজ শেষ না হলে টাকা ফেরত দিতে হবে। তাই ফেরত গিয়েছে।’’ তবে তিনি জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে ওই টাকা ফের খরচ করা যাবে। এ দিন প্রতিটি দফতরের অফিসারদের সেই নির্দেশই দিয়েছেন মেয়র। তাঁর কথায়, ‘‘প্রকল্প-রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছি। শীঘ্রই তা পাঠানো হবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে।’’ মেয়রের দাবি, সব টাকাই ফের ফিরে আসবে পুরসভায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement