হাসপাতাল চত্বরে কুকুর নির্বীজকরণ করতে উদ্যোগ

সোমবার পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এন আর এস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা এই শিবির করাতে চান।’’ আগামী ২৪ জানুয়ারি পুরসভার টিম এন আর এসে গিয়ে নির্বীজকরণের শিবির করবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩২
Share:

এন আর এস চত্বরে পথকুকুর। সোমবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

হাসপাতাল চত্বর জুড়ে থাকা কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে এ বার তৈরি হচ্ছে কলকাতা পুরসভার টিম। দিন কয়েক আগে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং হস্টেলে ১৬টি কুকুরছানাকে মেরে ফেলার ঘটনায় তোলপাড় হয় শহর। যাঁরা কুকুরছানা মেরেছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তখনই প্রশ্ন ওঠে, হাসপাতাল চত্বরে কুকুরের অবাধ যাতায়াত এবং বংশবৃদ্ধি নিয়ে। এর পরেই কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, হাসপাতালের চত্বরে থাকা কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ করতে প্রস্তুত পুরসভা। সোমবার পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এন আর এস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা এই শিবির করাতে চান।’’ আগামী ২৪ জানুয়ারি পুরসভার টিম এন আর এসে গিয়ে নির্বীজকরণের শিবির করবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

ইতিমধ্যেই শহরে কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত পুর প্রশাসন। এন আর এসের নার্সিং হস্টেলের ঘটনার পরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, কুকুর নির্বীজকরণের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। তার জন্য আরও বড় পরিকাঠামো দরকার। দ্রুত সেই পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

এ দিন অতীনবাবু জানান, বৃহস্পতিবার এন আর এস চত্বরে আগে কুকুর ধরার কাজ করবে পুরসভার বিশেষজ্ঞ দল। নির্বীজকরণের কাজ কি সেখানেই হবে? তিনি জানান, নির্বীজকরণের জন্য ডগপাউন্ডে পরিকাঠামো রয়েছে। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে। অস্ত্রোপচারের পর ফের ওই সব কুকুর ছেড়ে দেওয়া হবে ওই হাসপাতাল চত্বরে। নির্বীজকরণের পাশাপাশি ওখানে থাকা সব কুকুরকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাতে কুকুর কামড়ালেও ভয় না থাকে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, শুধু এন আর এস নয়, শহরের প্রায় সব সরকারি হাসপাতাল থেকেই কুকুরের উপদ্রব নিয়ে অভিযোগ আসে। ঘটে কুকুর কামড়ানোর ঘটনাও। তাই অন্য হাসপাতালগুলিতেও পুরসভার টিম কুকুর নির্বীজকরণের কাজ করবে বলে জানান স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক। এ বিষয়ে অতীনবাবুর বক্তব্য, হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে পুরসভা সরাসরি এ কাজ করতে পারে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি দরকার। তাই অন্য হাসপাতালের অনুমতি এলে সেখানে কাজ শুরু হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement