শুক্রবার টক টু মেয়রে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ পান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। — নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি নির্মাণ বিষয়ে পুরসভার বরো অফিসগুলির ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে কলকাতা পুরসভার বরো নম্বর-১৬ থেকে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পান তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পরেই উপস্থিত ডিজি (বিল্ডিং)-কে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে শহরে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন মেয়র।
প্রশ্ন ওঠে, বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠলে অনেক ক্ষেত্রেই বরোগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ঘুরে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই কলকাতা পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। এমনটা কেন হচ্ছে? জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘অভিযোগ এসেছিল, একটি বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই বাড়িটির নীচে পার্কিং লট তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে থাকার জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আমি ডিজি (বিল্ডিং)-কে প্রশ্ন করেছিলাম, বরো অফিসগুলি কী করছে?’’ ক্ষোভের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অভিযোগ আসার পর আমরা নির্দেশ দিলে তবেই কেন বরো পদক্ষেপ করবে? কেন বরো এগজিকিউটিভ বা তাঁর অধীনস্থ আধিকারিক এ বিষয়ে খবরাখরব রাখবেন না? তাঁরা কেন ডিজিকে জানাবেন না? সময় মতো পদক্ষেপ করবে্ন না?’’
ফিরহাদ জানিয়েছেন, ডিজি (বিল্ডিং)-কে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়ে শোকজ করে সংশ্লিষ্ট বরো আধিকারিকের কাছে বিষয়টি নিয়ে বিশদ জানতে। মেয়র বলেন, ‘‘বরো অফিসের দায়িত্ব এলাকায় এলাকায় ঘুরে কোথায় কী হচ্ছে, তার খবর রাখা। যদি বরো অফিস কোনও কাজই না করে, তা হলে তো শুধু প্রধান অফিসে একটি মাত্র দফতর রাখলেই কাজ হয়ে যেত। ভিজিল্যান্সের দায়িত্ব বরোর। কোনও বেআইনি নির্মাণ হলে, কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? এ ক্ষেত্রে ডিজিকে কড়া হতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শোকজ করে ডিজি (বিল্ডিং) নিজের ক্ষমতার ব্যবহার করবেন। কারণ আমার নীচুতলার লোকেরা যদি কাজ না করেন, তা হলে আমাকে আমার ক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁদের বুঝিয়ে দিতে হবে।’’